বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, স্বীকার করল তৃণমূল!
শনিবার নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উত্সব সংখ্যা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৬ সালে জোট বেঁধেছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু চিন্তিত দেখায়নি শাসক দলকে। বরং বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন তৃণমূল ছোট-বড়ো নেতা। কিন্তু তৃতীয় দফায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে কি শঙ্কিত তৃণমূল? লোকসভা ভোটে বিজেপির অপ্রত্যাশিত ফলের পর তেমন সম্ভাবনাই কি উঁকি মারছে শাসক দলের অন্দরে? সম্ভবত সেই আশঙ্কার কথাই প্রকাশ করে ফেলেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি। তাঁর লেখা জাগো বাংলা প্রবন্ধের কিয়দংশ জুড়েই রয়েছে 'বিজেপি-আতঙ্ক'।
শনিবার নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উত্সব সংখ্যা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সংখ্যাতেই রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সির একটি প্রবন্ধ। তার একটা অংশে লেখা, ২০১৪ সালের মতোই ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভারতবর্ষের মানুষ বিজেপির নানা প্রতিশ্রুতি ও চমকে ভুলে যায়। তার মধ্যে ভোটে কারচুপি, ইভিএমে গরমিল করে মানুষের ভোট নষ্ট করে দেশের ক্ষমতা দখল করে বিজেপি।
এরপরই বিজেপির থেকে সতর্ক করেছেন সুব্রত। দলের নেতাকর্মীদের তাঁর সাবধানবাণী, এই পরিস্থিতিতে আমাদের তৈরি হতে হবে ২০২১ সালের লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে। তবে তার আগে পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। যে নির্বাচন দলকে একপ্রকার অ্যাসিড টেস্টের মধ্যে দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
লোকসভা ভোটের পর রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে তৃণমূল। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন এগিয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায়। তৃণমূলে মমতাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। সেই দিদিই কিনা নিজের মুখের উপরে ভরসা করতে পারছেন না! একথা অনস্বীকার্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও বাংলায় ক্রাউড পুলার। তাঁকে টেক্কা দেওয়ার মতো বিরোধী শিবিরে কেউ নেই। কিন্তু দলের সর্বভারতীয় সভাপতির আশঙ্কা কি কোথায় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি বলে মনে হচ্ছে না, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
অনেকেই বলছেন, বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত আগ্রাসী হয়ে উঠবে বিজেপি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ দখলের স্বাদ গেরুয়া শিবিরের দীর্ঘদিনের। আর এমন মোক্ষম সুযোগ তাদের হাতে স্বাধীনতার পর থেকে আর আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হলে স্বাভাবিকভাবে সুবিধা হবে বিজেপিরই।
আরও পড়ুন- মমতা মেরেছে-ধরেছে বলে কাঁদুনি গাইবেন না, বুথ-সংগঠন বিস্তারের নির্দেশ নাড্ডার