‘জাদুঘরে CPM’, তৃণমূলের মুখপত্রে 'শূন্য' বামেদের তীব্র কটাক্ষ
সিপিএমকে নিশানা করল ঘাসশিবির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস কিংবা বামফ্রন্ট, দলীয় মুখপত্রে বিরোধীদের তুলোধোনা করা থেকে অব্যাহতি নিচ্ছে না তৃণমূল। কংগ্রেস ব্যর্থ, ইউপিএ শেষ এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কংগ্রেসের দল ধরে রাখা সমস্যা বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। জাগোবাংলায় কংগ্রেস 'ডিপফ্রিজে' বলে তৃণমূলের বক্তব্য, "কংগ্রেসের মধ্যে সেই ঝাঁঝটাই কমে গিয়েছে।" এবার সিপিএমকে নিশানা করল ঘাসশিবির।
মুখপত্রে বলা হয়েছে, রাজ্য থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বামেরা। একুশের নির্বাচনে খুব খারাপ ফল, স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিধানসভায় নেই বামেরা। বিধানসভা থেকে লোকসভা- সব লড়াইতেই তাদের নিট ফল শূন্য। এই ভাষাতেই রাজ্য বামেদের কটাক্ষ করা হয়েছে জাগো বাংলায়।
শনিবার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ''কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি সাদা বাড়ি, যাকে কলকাতার মানুষ জাদুঘর হিসেবেই জানেন। সেই জাদুঘরেই নিজেদের নাম খোদাই করে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের বামেরা। ২৩৬ থেকে এখন তারা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। বিধানসভায় শূন্য। লোকসভায় শূন্য। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শেষ হলে সেখানেও বিগ জিরো নিশ্চিত। পঞ্চায়েতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।’''
আরও পড়ুন, ভারতে প্রায় ৭০ হাজার তরুণ Radicalisation-এর অন্তর্ভুক্ত? কী বলছে সদ্য প্রকাশিত 'আমি কমান্ডো'
এরপরই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়েও সিপিএমের বিরুদ্ধে সবর। মুখপত্রে লেখা, “কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভরাডুবির পরেও সিপিএম নেতাদের চেতনার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। শরিকদের হুমকি উপেক্ষা করে কংগ্রেসের জন্য বেসরকারি ভাবে আসন ছেড়ে নিজেদের জেদ বজায় রেখেছে। জেদের রেজাল্ট আলিমুদ্দিনও জানে, জানে বিধানভবনও।”
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরেই দেশের বিভিন্ন অংশে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তৃণমূল। অন্যদিকে পুরভোটে একক ভাবে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েও বেশ কিছু আসন ছেড়ে রেখেছে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এই বার্তা কিছুটা কংগ্রেসের দিকে ইঙ্গিবহ।