অমিতের পর মেদিনীপুর শহরে মোদীর পাল্টা সভা তৃণমূলের
গতসপ্তাহে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার শিমুলিয়া ময়দানে সভা করেন অমিত শাহ। দু'দিন পরে রবিবার ওই একই মাঠে সভা করে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভার পাল্টা সভা করেছিল তৃণমূল। এবার মেদিনীপুর শহরে নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা সভা করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ১৬ জুলাই মেদিনীপুর শহরে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তার ৬ দিন পর সম্ভবত ২৩ জুলাই সেখানে সভা করবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন তৃণমূলের অন্য নেতারাও।
গতসপ্তাহে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার শিমুলিয়া ময়দানে সভা করে তৃণমূলকে বিঁধেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অমিত দিল্লি ফিরে যাওয়ার পর রবিবার ওই একই মাঠে লোক এনে পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেখানে বিজেপি নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''২০১৯ সালে দিল্লিতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, ৪২-এ ৪২ তাই। আমি অমিতজিকে বলতে চাই, আগে দিল্লি সামলান, তারপর বাংলা।'' অমিতের পর এবার কৃষিমন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৬ জুলাই মেদিনীপুর শহরে জনসভা রয়েছে তাঁর। বিজেপির দাবি, মোদীর জনসভায় লোক সমাগম ভেঙে দেবে সাম্প্রতিককালের সমস্ত রেকর্ড।
বলাই বাহুল্য, জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন নরেন্দ্র মোদী। মহাজোটের সলতে পাকানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তাঁর রাজ্যে এসে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করার এমন সুযোগ মোটেও হাতছাড়া করবেন না নমো। স্বভাবসিদ্ধভাবে নিজের ধারালো বাক্যবাণে বিঁধবেন মমতাকে। আর সেটা আঁচ করেই প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিতে তৃণমূলের জনসভা বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তৃণমূলের জনসভায় মোদীকে পাল্টা দিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েছে। তাই বিজেপির পাল্টা সভা করতে হচ্ছে তাদের। এটাই বোঝাচ্ছে কতটা বিজেপিভীতি তৃণমূলের!
আরও পড়ুন- ৭ মাস ধরে গণধর্ষণ ছাত্রীকে, অভিযুক্ত স্কুলের অধ্যক্ষ, দুই শিক্ষক, ছাত্র-সহ ১৮