মেয়র দায় এড়ানোয় ত্রিফলার `ভিলেন` এখন আধিকারিকরাই

ত্রিফলা আলোকাণ্ডে দুর্নীতির দায় এড়ালেন মেয়র। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রিফলা আলোর বরাত দিয়েছিল পুরসভাই। অথচ দুর্নীতির দায় চাপিয়ে দেওয়া হল পুরসভার তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় শোকজ করা হয়েছে আলো বিভাগের বর্তমান ডিজি মনোব্রত চৌধুরী,  প্রাক্তন ডিজি গৌতম পট্টনায়েক এবং জোন ফোর-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বাসব পাত্রকে।  

Updated By: Jan 31, 2013, 06:05 PM IST

কলকাতা পুরসভার তিন আধিকারিকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে ত্রিফলা কাণ্ডের দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আজ পুরসভার তরফে শোকজ করা হয়েছে আলো বিভাগের বর্তমান ডিজি মনোব্রত চৌধুরী,  প্রাক্তন ডিজি গৌতম পট্টনায়েক এবং জোন ফোর-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বাসব পাত্রকে।  কিন্তু তারপরেও কী দায় এড়াতে পারলেন মেয়র। প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ত্রিফলা আলো লাগানো নিয়ে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই।
কলকাতা পুরসভার মেয়রের দাবি ত্রিফলা নিয়ে পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে।
 
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ত্রিফলা বসানো নিয়ে যা করা হয়েছে ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু বেনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবারই তিন আধিকারিককে শোকজ করলেন মেয়র।
কলকাতা পুরসভার ত্রিফলা কাণ্ডে দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চাপের মুখে ছিল কলকাতা পুরসভা। আর এই চাপ কাটাতেই শেষ পর্যন্ত কোপ নেমে এল তিন আধিকারিকের ওপর। আলো বিভাগের বর্তমান ডিজি মনোব্রত চৌধুরী,  প্রাক্তন ডিজি গৌতম পট্টনায়েক এবং জোন ফোর-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বাসব পাত্রকে শোকজ করে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করেছে পুরসভা।
 
কিন্তু সত্যি কি মুখরক্ষা হল? আধিকারিকদের শোকজ করার পরেও কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই গেল। প্রথমত মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, ত্রিফলা আলো বসানোর সমস্ত নির্দেশ তিনি নিজে মেয়রকে দিয়েছেন। তাহলে মেয়র পার পেলেন কীভাবে? দ্বিতীয়ত ২৩৮ জনকে বরাত দেওয়া হল, সবটাই মেয়র পারিষদকে অন্ধাকারে রেখে সবটাই করলেন কয়েকজন অফিসার? আদৌ বিশ্বাসযোগ্য?
 
পুরসভা ওয়ার্কশপে কম দামে ত্রিফলা বাতি থাকা সত্ত্বেও কেন বাইরে থেকে বেশি দামে কেনা হয়েছিল পোল? কে দিয়েছিল নির্দেশ? প্রথম দিন থেকে মেয়র বলে গেছেন কোনও দুর্নীতি হয়নি। অঢিট রিপোর্ট আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হল। কেন এতদিন সত্যি গোপন করছিলেন মেয়র? ত্রিফলা দুর্নীতি নিয়ে আছে আরও অনেক প্রশ্ন।

.