এপ্রিলেই পঞ্চায়েত ভোট চায় সরকার
এপ্রিল মাসের শেষে নির্বাচন করতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। দু'দফায় হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমনটাই চাইছে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর রাজ্য সরকারকে তাদের মত জানাবে কমিশন। তারপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এপ্রিল মাসের শেষে নির্বাচন করতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। দু'দফায় হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমনটাই চাইছে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর রাজ্য সরকারকে তাদের মত জানাবে কমিশন। তারপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্ধারিত সময়ের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তত্পর রাজ্য। গোড়া থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনার বিষয়ে চাপ দিচ্ছিল রাজ্য সরকার। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত ভোট হোক শীতকালে। ফেব্রুয়ারিতেই পঞ্চায়েত ভোটের দাবি জানান তিনি। কিন্তু তখনও ভোটারতালিকা সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত না হলে নির্বাচনের পথে না এগোনোর কথাও বলেন বাম নেতারা।
তত্কালীন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ রাজ্য সরকারের পক্ষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ করার জন্য চিঠি দেন। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আনাই ছিল এই চিঠির উদ্দেশ্য। ওই সময় পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রীও।
সম্প্রতি দার্জিলিংয়ে উত্তরবঙ্গ উত্সবে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঠিক সময়েই হবেকবে হবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল গোড়া থেকেই। তবে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে এপ্রিলের শেষে বা মে মাসে নির্বাচন হবে।
এবার নতুন টানাপোড়েন শুরু হয়েছে কদফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে তা নিয়ে। নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকার একাধিক বার দাবি জানিয়েছে পঞ্চায়েত ভোট হোক এক দফায়। তবে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কারণে তিন দফায় ভোট করতে চেয়েছিল কমিশন।
মনে করা হচ্ছে, কমিশন নিজেদের মতে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত দুদফায় পঞ্চায়েত ভোট চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় একাধিক দফায় ভোটের পক্ষে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এবার শুরু থেকেই তার সরকার এক দফায় ভোটের জন্য সওয়াল করে এসেছে। এর আগে ২০০৮ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল তিন দফায়। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল পাঁচ দফায়। সেই সঙ্গে অন্য একটি সমস্যাও সামনে চলে আসে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। যেহেতু ভোটকেন্দ্র হবে স্কুলগুলিতেই সেকারণে ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়।
রাজ্যের ৬৬০০টি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদ নির্বাচন সব মিলিয়ে কয় দফায় করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন সেটাই দেখার।