সুতিই সেরা: কল্লোল দত্ত
এই পুজোয় যেদিকেই তাকান ব্রাইট কালারসের মেলা। তবে এতসব জমকালো রঙের মাঝেও অফ-হোয়াইট সুতির ট্রাডিশনাল শাড়িতেই এবার পুজোর ফ্যাশন দেখছেন ডিজাইনার কল্লোল দত্ত। রঙীন পাড়, রঙীন ব্লাউজের মাঝখানে সাদা শাড়িতে সনাতনী বঙ্গললনাদের সেই সাজেরই বৃত্তান্ত শোনালেন তিনি।
প্রমা মিত্র
এই পুজোয় যেদিকেই তাকান ব্রাইট কালারসের মেলা। তবে এতসব জমকালো রঙের মাঝেও অফ-হোয়াইট সুতির ট্রাডিশনাল শাড়িতেই এবার পুজোর ফ্যাশন দেখছেন ডিজাইনার কল্লোল দত্ত। রঙীন পাড়, রঙীন ব্লাউজের মাঝখানে সাদা শাড়িতে সনাতনী বঙ্গললনাদের সেই সাজেরই বৃত্তান্ত শোনালেন তিনি।
এবারের পুজোয় কী ধরণের পোষাক সবথেকে ভাল চলবে?
আমার কাছে পুজো মানেই শাড়ি। এখন সারা বছর যতই আনারকলি, কুর্তি চলুক না কেন পুজোর সময়ে শাড়ির সাবেকি সাজই সবথেকে ভাল। আর শাড়ির মধ্যে আমার সবথেকে পছন্দ অফ হোয়াইট কেরালা কটন। এটা পুজোর মুডের সঙ্গে ভীষণ ভাল যায়। পুজোর যে কোন দিন, যে কোন সময়ে এই শাড়ি পরলে সাজ একটা অন্য মাত্রা পাবে। আমি বলব রঙীন পাড়ের অফ হোয়াইট কেরালা কটন পরতে। মেরুন, তুঁতে নীল, গাঢ় নীল, কমলা, বটল গ্রিন, ম্যাজেন্টা, পার্পল যে কোন ব্রাইট রঙের সরু পাড় দেওয়া শাড়ি।
এবারের পুজোয় ব্লাউজের ফ্যাশন খুব চলছে। এই ধরণের শাড়ির সঙ্গে ঠিক কীরকম ব্লাউজ ভালো লাগবে?
শাড়িটা যেহেতু খুব হালকা থাকছে তাই ব্রাইট রঙের ব্লাউজ দিয়ে পরলে ভাল লাগবে। সেক্ষেত্রে পাড়ের রঙের ব্লাউজ বা পাড়ের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ব্লাউজ পরলে খুব সুন্দর হবে সাজটা। সুতির শাড়ির সঙ্গে জমকালো রঙের ব্রোকেডর ব্লাউজ পরলে সাজ আরও খুলবে। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার পোষাকটাকে ঠিকঠাক অ্যাক্সেসারাইজ করা। নাহলে পুরো সাজটাই মাটি।
কীভাবে অ্যাক্সেসারাইজ করলে সবথেকে সুন্দর লাগবে?
এখন একটু জাঙ্ক জুয়েলারি খুব ভাল চলছে। আমি বলব সোনা না পরে রুপো বা অক্সিডাইজড বা ডোকরার গয়না পরতে। কানে একটু বড় ঝুমকা, সঙ্গে একহাতে একটু বেশি করে চুড়ি। গলা খালি রাখলেই ভালো লাগবে। এই ধরণের সাজের সঙ্গে মাথায় ফুল খুব ভাল যায়। একটা খোঁপা করে সুন্দর করে মাথায় জুঁই ফুল লাগালে পুজোর সময়ে খুব স্লিগ্ধ লাগে।
এই পুজোয় সকাল এবং বিকেলের সাজে কী পার্থক্য থাকবে?
এখন বেশির ভাগ সময়ই আমাদের প্রতিদিন সকাল বিকেল আলাদা করে সাজার সুযোগ হয়ে ওঠে না। প্রায় সবাই এখন পুরো দিনের জন্যই সেজেগুজে বেরিয়ে পড়ে। আমি বলব একই পোষাকের সঙ্গেই সাজটা একটু এদিক ওদিক করে নিতে। সকালে খুব হালকা মেক আপ করে বেরিয়ে সন্ধের আগে কাজলটা একটু গাঢ় করে নেওয়া হল, লিপস্টিকটা এক শেড বাড়িয়ে দেওয়া হল, সারা সকাল টিপ না পরে সন্ধে বেলা একটা সুন্দর বড় টিপ পরে পাশে একটু চন্দন দিয়ে কাজ করে নিলে সাজটা অনেক ব্রাইট হয়ে যাবে। সকালে যদি মাথায় ফুল লাগান তাহলে চুলটা খুলে একটু অন্য স্টাইল করে নিতে পারেন। শাড়িটা লাট খেয়ে গেলে কুঁচি আর আঁচলটা একটু টানটান করে নিলে ফ্রেশ লাগবে। সকালে যদি প্লিট করে পরেন তাহলে বিকেলে আঁচলটা খুলে দিন। সকালে হালকা গয়না পরলে বিকেলে একটু ভারী পরে নিন। আর যেই জিনিসটা সাজ সবথেকে বেশি বদলে দেয় সেটা হল জুতো। সকালে যদি ফ্ল্যাট বা ছোট হিলের কোন জুতো পরেন, সন্ধেবেলা উঁচু হিলের স্টাইলিশ জুতো পরে নিলে পুরো লুকটার মধ্যেই একটা চেঞ্জ আসবে। পুরো চেহারার প্যাটার্নটাই অন্যরকম লাগবে।
গয়না, জুতো তো গেল। ব্যাগের ব্যাপারটা কীভাবে সামলাতে হবে?
শাড়ির সঙ্গে ক্লাচ ব্যাগ সবথেকে ভাল লাগে। তবে গোল্ডেন বা স্টোনড ক্লাচ নয়। যেহেতু শাড়িতে জড়ির পাড় থাকছে না, তাই ব্যাগটাও ম্যাট হলেই ভাল লাগবে। লেদার ক্লাচ দেখতে সবথেকে ক্লাসি লাগবে। কালো, ব্রাউন, মেরুন বা শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে যে কোনও রঙের লেদার ক্লাচ পুরো সাজটাকে কমপ্লিমেন্ট করবে।
কোথায় পাওয়া যাবে এই ধরণের শাড়ি?
আমার স্টুডিওয় প্রচুর ভ্যারাইটির কেরালা কটন পাবেন। ব্লাউজটাও আমি ম্যাচ করে দেব। লেদার ক্লাচও পেয়ে যাবেন আমার কাছে। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে পুরো ব্যাপারটা অ্যাক্সেসারাইজ করে দেওয়া হয় আমার স্টুডিওয়।