Foot Care: শীতে পা ফাটছে? জেনে নিন কী ভাবে পা'কে করে তুলবেন যথার্থ পদপল্লব!
আগে স্ক্রাব করে মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আপনি হয়তো খুবই সুন্দরী, কিন্তু এই শীতে আপনার পায়ের অবস্থা বেশ অসুন্দর। মানে, হয়তো পায়ের ত্বক অতি রুক্ষ, কিঞ্চিৎ ফেটেও গিয়েছে গোড়ালি। তা হলে কিন্তু আপনার সৌন্দর্যে একটা বড় রকমের প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে গেলে আপনাকে সামগ্রিক ভাবে সুন্দর হতে হবে।
অথচ, এ কথা ঠিক যে, এই শীতে পা ফাটবেই। এমনিতেই পায়ের উপরে গোটা শরীরের চাপ থাকে। এর উপর আবহাওয়ার কারণে ও ধুলোবালির জন্যে গোড়ালির অল্প-স্বল্প ফাটল অনেকেরই থাকে। তবে শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় বিশ্রীভাবে পা ফাটতে শুরু করে। সেজন্য শীতকালে পায়ের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। তবে সারা বছরই পায়ের যত্ন নেওয়া দরকার।
কী ভাবে যত্ন নেবেন?
আপনার পায়ের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে হবে। খসখসে শুষ্ক ত্বকের উপরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে গেলে কোনও লাভ হয় না। ত্বক ভেদ করে ময়েশ্চারাইজারের আর্দ্রতা গভীরে পৌঁছয় না। তাই আগে স্ক্রাব করে মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
ইষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে বসলে আরাম পাওয়া যায়। কিছু পরে এই জলের মধ্যে সামান্য শাওয়ার জেল বা শ্যাম্পু মেশান। তারপর পা ঘষে মৃত কোষ তুলে ফেলতে হবে। এভাবে দশ মিনিট হালকা গরম জলে পা ডুবিয়ে বসলে পায়ের ত্বক নরম হয়ে যায়। এর পর তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। মোছার সময়ে অবশ্য বেশি ঘষলে হবে না।
আর একটা কাজ করতে পারেন। ওই ধরনের জল থেকে পা তুলে নেওয়ার পর পা ভিজে থাকা অবস্থাতেই পায়ের উপর আলতো করে পিউমিক স্টোন ঘষতে পারেন। ফুট স্ক্রাব অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে কয়েক ফোঁটা মিন্ট বা টি ট্রি অয়েল দিতে পারেন। মিশ্রণটি দিয়ে পা স্ক্রাব করলে ভালো উপকার হয়।
এর পরে পা একটি পুষ্টিকর মাস্কে আবৃত করা জরুরি। এর জন্য একটি পাকা কলা লাগবে। লেবুর রসের সঙ্গে কলা মিশিয়ে পায়ে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম জল দিয়ে এটা ধুয়ে ফেলতে হবে।
পায়ের পাতা গোড়ালি আর্দ্র রাখার জন্য পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল বা ক্রিম লাগিয়ে এক জোড়া পুরনো মোজা পরে নিতে পারেন।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: Surya Namaskar: ব্যায়াম করেন কিন্তু সূর্যপ্রণাম করেন না? জানেন, রোজ কী সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি করছেন!