Saraswati Puja: গোটা সেদ্ধ! ধর্মীয় আচার আর নিহিত বিজ্ঞানের অপূর্ব মেলবন্ধন
পঞ্চমীর বিকেলে এসব রেঁধে রেখে পরদিন ষষ্ঠীর সকালে গরম না করে খাওয়া রীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরস্বতী পুজোর দিনে বিকেলে প্রায় প্রতি বাড়িতেই গোটা সেদ্ধ'র পালা-পার্বণ থাকে। সরস্বতী পুজো হয় পঞ্চমী তিথিতে, এর পরদিন ষষ্ঠী। এই ষষ্ঠী শীতল ষষ্ঠী হিসেবেই পরিচিত। এদিন সবই শীতল মানে, ঠান্ডা খেতে হয়। নিয়ম এতদূর কড়া যে, ব্রতধারিণী সকালে গরম চা-ও খান না!
সরস্বতী পুজোর দিন বিকেলে সমস্ত সবজি গোটা গোটা সেদ্ধ করা হয়। হাঁড়িতে জল নুন দিয়ে সেদ্ধ করা হয় এই সব সবজি। তেল বা হলুদ দেওয়া হয় বা হয় না সংশ্লিষ্ট পরিবারে নিজস্ব নিয়মমাফিক। এদিন এই রান্নায় থাকে গোটা বেগুন, গোটা সিম, গোটা ছোট আলু, গোটা কড়াইশুটি, গোটা রাঙালু, গোটা ছোলা-মটর সহ পাঁচরকম কড়াই, সজনে ফুল, শিষওয়ালা পালং এবং পুঁই ডাল। এর সঙ্গে কুলের টক খাওয়ার রীতি। থাকে জল দিয়ে রাখা ঠান্ডা ভাত। পঞ্চমীর বিকেলে এসব রেঁধে রেখে পরদিন ষষ্ঠীর সকালে এসব গরম না করে খাওয়া হয়।
খুবই সুস্বাদু এই সেদ্ধ। সব চেয়ে বড় কথা, এই পদটির রীতিমতো শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। এটি এই ঋতুবদলের সময়ে যে রোগ-ভোগগুলি লেগে থাকে তার সঙ্গে লড়াই করার প্রয়োজনীয় রক্ষাকবচ সরবরাহ করে শরীরকে। রোগপ্রতিরোধ শক্তি জোগায় শরীরে। তবে মানুষকে এমনি এমনি এই সেদ্ধ ঠান্ডা খাবার খেতে বললে হয়তো তাঁরা তা খাবেন না। তাই মনে করা হয়, যাঁরা এই সব নিয়ম-কানুন তৈরি করেছিলেন, তাঁরা ইচ্ছে করেই এটি শীতল ষষ্ঠী ব্রতের সঙ্গে বেঁধে দিয়েছেন। যাতে মানুষ বাধ্যতামূলক ভাবে এটি মেনে চলে।