মহাকাশের অদেখা ছবি এই প্রথম প্রকাশ্যে আনল নাসা! 'অপূর্ব' আলোকচিত্রে মুগ্ধ বিশ্ব
এই ছবিটি ১৩০০ কোটি বছরের কাছাকাছি সময়কার। এই গ্যালাক্সির ছবি তুলেছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাবিশ্বের এমন ছবি আগে কখনই ধরা পড়েনি। এবার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। ছবিটি মহাবিশ্বের এ যাবৎকালে পাওয়া অদেখা ছবিগুলির একটি৷ আলোকচিত্রগুলি যেন অকল্পনীয়। বলা হয়েছে, এই ছবিটি ১৩০০ কোটি বছরের কাছাকাছি সময়কার। এই গ্যালাক্সির ছবি তুলেছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
দেখা গিয়েছে নাসার গ্যালাক্সি আরও বড়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, মহাশূন্যে ফুঁড়ে ব্রহ্মাণ্ড তৈরির রহস্য বের করে আনবে নাসার দূরবীন জেমস ওয়েব৷ বলা হয়েছে যে হাবল টেলিস্কোপের থেকেও এর দূরদৃষ্টি বেশি। হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ একধাপ এগিয়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে।
নাসার ফ্ল্যাগশিপ মিশনখ্যাত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি। প্রথম প্রকাশ পাওয়া জেমস ওয়েবের তোলা ঐতিহাসিক ছবিটির বিশেষত্ব হলো—এটি ৪৬০ কোটি বছর আগের সুদূর মহাবিশ্বের ছায়াপথগুচ্ছের ছবি। এটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ‘ফুল-কালার ডিপ ফিল্ড ইমেজ’, এবং সেইসঙ্গে মানবজাতির ইতিহাসে দূর মহাবিশ্বের ‘ডিপেস্ট’ (গভীরতম) ও ‘শার্পেস্ট’ (সুস্পষ্ট) ইনফ্রারেড ছবি।
It's here–the deepest, sharpest infrared view of the universe to date: Webb's First Deep Field.
Previewed by @POTUS on July 11, it shows galaxies once invisible to us. The full set of @NASAWebb's first full-color images & data will be revealed July 12: https://t.co/63zxpNDi4I pic.twitter.com/zAr7YoFZ8C
— NASA (@NASA) July 11, 2022
Join me and Vice President Harris as we receive a briefing from NASA officials and preview the first images from the Webb Space Telescope – the highest-resolution images of the infrared universe ever captured. https://t.co/PbOIyIeXw9
— President Biden (@POTUS) July 11, 2022
জেমস ওয়েবে তোলা ছবিটির ছায়াপথগুচ্ছ থেকে আলো এসে পৌঁছাতে ৪৬০ কোটি বছর লেগেছে। এত দূরের বস্তু ঝাপসা বা দেখার অযোগ্য থাকার কথা, কিন্তু এখানেই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের বিশেষত্ব। জেমস ওয়েবের ছবিতে দেখা যাওয়া ছায়াপথগুচ্ছের মোট ভর এত বেশি যে, সেটি মহাকর্ষিক লেন্স হিসেবে কাজ করছে। আর সেই লেন্স দিয়ে পেছনের আরও দূরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু বড় হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। সেসব আলোকবিন্দুও একেকটি অদেখা ছায়াপথ, সেখানেও রয়েছে অগণিত গ্রহ-উপগ্রহ।
আরও পড়ুন, আপনি ভালো ড্রাইভার? গাড়ি বিমায় লাগবে কম প্রিমিয়াম!