ডায়নোসর পাথরখণ্ডের কথা ভেবেই চক্ষু চড়ক গাছ সোশ্যাল দুনিয়ার

অবাক হচ্ছেন। হওয়ারই কথা। ভাবছেন কোন শহরে পড়ল এতবড় পাথরখণ্ড। ঘুম থেকে উঠে এমন কোনও ছবি খবরের কাগজে তো দেখননি। না, সত্যিই দেখেননি। তবে এই ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতবড় পাথরখণ্ডটি হল বিজ্ঞানজগতে এখন সবচেয়ে আলোচিত  চুরিমফ-গেরাসিমিয়েঙ্কো ধুমকেতু। চার কিলোমিটার লম্বা ও ৩২ কিলোমিটার প্রশস্ত ধুমকেতুটি বাস্তবিক চেহারা কেমন হবে, তারই একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করেছেন এক ব্যক্তি। ২০০৪ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পাঠানো রোসেটা মহাকাশযান এই ধুমকেতুর সন্ধান পায়।

Updated By: Aug 19, 2014, 02:10 PM IST
ডায়নোসর পাথরখণ্ডের কথা ভেবেই চক্ষু চড়ক গাছ সোশ্যাল দুনিয়ার

ওয়েব ডেস্ক: অবাক হচ্ছেন। হওয়ারই কথা। ভাবছেন কোন শহরে পড়ল এতবড় পাথরখণ্ড। ঘুম থেকে উঠে এমন কোনও ছবি খবরের কাগজে তো দেখননি। না, সত্যিই দেখেননি। তবে এই ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতবড় পাথরখণ্ডটি হল বিজ্ঞানজগতে এখন সবচেয়ে আলোচিত  চুরিমফ-গেরাসিমিয়েঙ্কো ধুমকেতু। চার কিলোমিটার লম্বা ও ৩২ কিলোমিটার প্রশস্ত ধুমকেতুটি বাস্তবিক চেহারা কেমন হবে, তারই একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করেছেন এক ব্যক্তি। ২০০৪ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পাঠানো রোসেটা মহাকাশযান এই ধুমকেতুর সন্ধান পায়।

২০১৪, ৬ অগাস্ট রোসেতা যান চুরিমফ-গেরাসিমিয়েঙ্কো ধুমকেতুর প্রায় একশো কিলোমিটার দূরত্বে পাশাপাশি প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০ কোটি কিলোমিটার দূরের এই ধুমকেতুকে এত কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পেরে বিজ্ঞানে একটা নতুন দরজা খুলে গেছে। রোসেটা ও তার রোবোটিক ল্যান্ডার 'ফেলি' ১৭ মাস ধরে গবেষণা চালাবে।

পৃথিবী থেকে ধুমকেতুর দূরত্ব ও গতির কারণে তাদেকরকে নিয়ে গবেষণা কঠিন হয়ে থেকেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশা করছেন রোসেটার পাঠানো তথ্য ধুমকেতু বিষয়ে অনেক কিছু জানা যাবে। অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ধুমকেতুতে থাকা জল, কার্বন ও অন্যান্য উপাদান পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার করেছে।

ধূমকেতু চুরিমফ-গেরাসিমিয়েঙ্কো যার সংক্ষিপ্ত নাম 67Pর কক্ষপথে এক চার পাঁচ মাস ঘুরবে রোসেটা। স্পেনে ইউরোপীয় স্পেস অ্যাস্ট্রনমি সেন্টারের গবেষক অধ্যাপক আলভারো গিমেনেয বলছেন, "সৌরজগতের সৃষ্টি সম্পর্কে , পৃথিবীতে জলের উৎস এবং পৃথিবীর জটিল অণুপরমাণুর উৎস সম্পর্কে আমাদের মনে যেসব প্রশ্ন রয়েছে তার উত্তর আমরা খুঁজতে চাই,”।

 

.