করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরে ঘাস খেতে বেরচ্ছে একপাল ছাগল!
যদি বাঘ-সিংহের শরীরে করোনা সংক্রমিত হতে পারে তাহলে ছাগলের হবে না! তাই এই ব্যবস্থা...
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কের গ্রাসে এখন গোটা দুনিয়া। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনও টিকা বা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তাই পরীক্ষামূলক বিকল্প চিকিত্সা পদ্ধতি, আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতার উপরেই ভরসা রাখছেন চিকিত্সক, বিশেষজ্ঞ থেকে আম জনতা।
মুখে মাস্ক পরছেন বা মুখ কাপড়ে ঢেকেছেন প্রায় সকলেই। করোনা সংক্রমণ থেকে পোষ্যদের বাঁচতে অনেকে তাদের মুখও ঢেকেছেন কাপড় বা মাস্কে! নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় যদি বাঘ-সিংহের শরীরে করোনা সংক্রমিত হতে পারে তাহলে ছাগলের হবে না! তাই নিজের ২০টি ছাগলের মুখে মাস্ক পরালেন তেলেঙ্গানার কাল্লুর মণ্ডলের বাসিন্দা এ ভেঙ্কটেশ্বর রাও।
ভেঙ্কটেশ্বরের সংসারের অন্ন সংস্থান অনেকটাই নির্ভরশীল এই ২০টি ছাগলের উপর। এগুলি তাঁর পরিবারের সদস্যের মতোই। কিন্তু লকডাউনে মানুষকে ঘরবন্দি করা গেলেও এই প্রাণীগুলিকে দু-বেলা ঘাস খাওয়াতে হলে বাড়ির বাইরে বের করতেই হয়। আর বাইরে বেরলেই করোনা সংক্রমণের ভয়!
যেখানে হাজার হাজার মানুষ মরছে এই ভাইরাসের প্রকোপে, বাঘ-সিংহের শরীরেও যখন করোনা সংক্রমিত হচ্ছে তখন বাইরে ঘাস খেতে বেরিয়ে বিপদে পড়তে পারে এই অবলা প্রাণীগুলিও। তাই ছাগলগুলিকে বাইরে বের করার আগে ওদের নাক মাস্কে ঢেকে দিচ্ছেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর নিয়ম মেনে মাস্কগুলি ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়েও নিচ্ছেন ভেঙ্কটেশ্বর।
আরো পড়ুন: লকডাউনে মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাস!
ভেঙ্কটেশ্বরের এই কাণ্ড এখন রীতিমতো ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। অনেকেই এই দরিদ্র মানুষটির সচেতনতা আর উদ্যোগের প্রশংসা করছেন।