জেনে নিন ভাল ফেসিয়ালের ‘মন্দ’ দিকগুলি
ত্বকের প্রকৃতি না বুঝে ফেসিয়াল করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত ফেসিয়ালের ফলে ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ফলে অল্পতেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশির ভাগ মানুষই সবচেয়ে বেশি সচেতন নিজের মুখ নিয়ে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারলেই বয়স যেন থমকে যাবে আপনার কাছে! মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসিয়াল। তবে ত্বকের প্রকৃতি না বুঝে ফেসিয়াল করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। আসুন ফেসিয়ালের ভাল আর মন্দ দিকগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দাগ ও পিম্পল চলে যায়: ফেসিয়ালে ত্বকের অযাচিত দাগ চলে যায়। আবার ব্রোন বা পিম্পলের সমস্যা থাকলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে ময়লা থাকলে ব্রোন বা পিম্পল দেখা দেয়। আর ফেসিয়াল ত্বকে সব ময়লা ধুয়ে সাফ করে দেয়। ফেসিয়ালের সময় যদি স্টিম করা হয়, সেক্ষেত্রে মুখের ত্বকের লোমকূপের গোড়া উন্মোচিত হয় এবং সেখানে জমে থাকা ময়লা অনায়াসেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
ত্বকের জৌলুস ফেরে: ফেসিয়ালের মূল কাজ হল ত্বকের লোমকূপে জমে থাকা তেল, ময়লা পরিষ্কার করে ত্বকের আদ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখা। এতে ত্বকের হারানো সতেজতা ফিরে আসে। অনেক ফেসিয়ালে ‘এক্সফোলিয়েশন’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এতে নতুন কোষ জন্মায় এবং ত্বকের বলিরেখা দূরীভূত হয়। শুধু তাই নয়, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ময়েশ্চারাইজার ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
ফেসিয়ালের ভাল-মন্দ: নানা ধরনের ফেসিয়াল আছে। এর মধ্যে কিছু প্রকৃত অর্থেই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তেমনই একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফেসিয়ালের নাম ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল। এই ফেসিয়ালে অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুঁচ ব্যবহৃত হয়। এগুলি দিয়ে মুখ বা দেহের ত্বক থেকে দূষিত রক্ত বের করে দেওয়া হয়। এ কাজে যদি সুঁচগুলোকে শতভাগ জীবাণুমুক্ত করে না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীপ হয়ে যেতে পারে। এইচআইভি কিংবা হেপাটাইটিসের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শুধু ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালই নয়, যে কোনও সাধারণ ফেসিয়ালের ক্ষেত্রেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসিয়াল। কিন্তু ত্বকের প্রকৃতি না বুঝে ফেসিয়াল করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত ফেসিয়ালের ফলে ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ফলে অল্পতেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
সুতরাং, আপনার জীবনযাত্রা আর ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী মাসে দু’ থেকে তিন বারের বেশি ফেসিয়াল না করাই ভাল। ফেসিয়াল করার পর সূর্যের আলোয় ঘণ্টা খানেক না বেরতে পারলেই ভাল। তাই মুখের ত্বকের স্বাস্থ ফেরাতে ফেসিয়াল করুন। তবে ফেসিয়াল করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলাও অত্যন্ত জরুরি।