করোনায় দিল্লি পুলিসে প্রথম মৃত্যু, প্রাণ হারালেন ৩১ বছরের কনস্টেবল
সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় কনস্টেবলের। বুধবার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ৩১ বছরের এক কনস্টেবল। নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দিল্লি পুলিসে এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ জন পুলিসকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে ৯ জন সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে মৃত্যু হয় অমিত রানা নামে ৩১ বছর বয়সী ওই কনস্টেবলের। আদতে হরিয়ানার সোনিপাতের বাসিন্দা ওই কনস্টেবল উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ভারত নগর থানায় কর্মরত ছিলেন। পরিবারে তাঁর স্ত্রী ও ৩ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অমিতের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তার কয়েক ঘণ্টা পরই ধুম জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অমিত রানার। প্রথমে তাঁকে দীপ চাঁদ বন্ধি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে রাম মনোহর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা অমিত রানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অমিত রানার মৃত্যুর আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল তাঁর লালারস। এরপরই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেই লালারস। বুধবার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। দিল্লি পুলিসে অমিত রানা-ই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন। ইতিমধ্যেই তাঁর সহকর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
কনস্টেবল অমিত রানার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন দিল্লি পুলিস কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, "ভারত নগর থানার কনস্টেবল অমিত রানার আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা পুলিস বাহিনী শোকস্তব্ধ।" এই দুঃসময়ে মৃতের পরিবারের পাশে থাকার ও পুলিসের তরফে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন, আপনার জেলায় করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কত? দেখুন বুধবারের পূর্ণাঙ্গ সরকারি বুলেটিন