'তোর পুরুষাঙ্গ কেটে নেব', গার্ডকে মহিলার হুমকির জেরে তোলপাড় নেটপাড়া!
নেটিজেনরা সকলেই ওই মহিলার আচরণ দেখে হতবাক। এই বিষয়টিকে হাই-প্রোফাইল শ্রীকান্ত ত্যাগী মামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকেই। সেই ঘটনায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে একইভাবে একজন মহিলাকে গালিগালাজ ও হেনস্থা করতে দেখা যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে নয়ডায়। একজন মহিলা নয়ডার সেক্টর 126-এ তে একটি আবাসিক এলাকার একজন কর্তব্যরত গার্ডের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এই ঘটোনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে। ওই মহিলাকে অত্যন্ত কটূ ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়াও ওই গার্ডকে মারধর করতে এবং তাকে ধাক্কা দিতে দেখা যায়। ওই মহিলা একটি খুবই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলা অভিযোগ করেন যে ওই গার্ড আবাসিক সোসাইটির মূল প্রবেশদ্বার খুলতে দেরি করেছিল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা কর্তব্যরত গার্ডকে গালিগালাজ করছেন। সেই সময় তিনি বলেন, ‘তেরি আউকাদ কেয়া হ্যায়। তুম লোগন কা ল**ড কাট কে মুহ মে খিলা দুঙ্গি’। মহিলার ব্যবহৃত বাকী কটূক্তিগুলি আরও বেশি অশ্লীল ছিল।
অন্যদিকে, এই ঘটনার সময় ওই প্রহরী কিছুক্ষণের জন্য শান্ত ছিলেন। যাইহোক, সেও কিছুক্ষণ পরে তার মেজাজ হারিয়ে ফেলে এবং তার নিজের আই-কার্ড ফেলে দেয়। ভিডিয়োতে গার্ডকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এমন কাজ করব না’।
নেটিজেনরা সকলেই ওই মহিলার আচরণ দেখে হতবাক। এই বিষয়টিকে হাই-প্রোফাইল শ্রীকান্ত ত্যাগী মামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকেই। সেই ঘটনায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে একইভাবে একজন মহিলাকে গালিগালাজ ও হেনস্থা করতে দেখা যায়।
ত্যাগী একজন মহিলাকে গালিগালাজ করেন এবং হেনস্থা করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। উত্তরপ্রদেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন বলে জানিয়েছেন। পরবর্তীকালে ত্যাগীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়। তার কিছু সহযোগী এবং পরিবারের সদস্যদের আটকও করা হয়।
আরও পড়ুন: আবগারি নীতির তদন্তে সিবিআই, লুকআউট নোটিশ শিসোদিয়ার বিরুদ্ধে
একজন ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমিও শুনেছি, বিহারীদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করার জন্য অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, এটা বিহারের অপমান’।
অন্য একজন ব্যবহারকারী শ্রীকান্ত ত্যাগী ঘটনার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘এটা ঠিক আছে .....পুলিস তাকে গ্রেফতার করবে না এবং দ্বিতীয়ত বুলডোজার তত্ত্ব শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য নারীদের জন্য নয় এবং আইন এবং পুলিসও পক্ষপাতদুষ্ট’।
আরেক নেটনাগরিক লিখেছেন, ‘এখানেই আমাদের সিস্টেম ভুল হয়ে যায়.. এই আবাসনের সভাপতি আরডব্লিউএ-এর অবিলম্বে এই অপমানজনক মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা উচিত ছিল সে যতই ধনী হোক না কেন.. এই গার্ডের দোষ হল সে দরিদ্র এবং চাকরির অভাবে সব শুনতে হয় এটা..দুঃখজনক’।