Aaftab Poonawala | Shraddha Walkar: পার্টনারের হাড় মিক্সারে গুঁড়ো করে রাস্তায় ছড়িয়েছিল নৃশংস খুনী আফতাব!
Aaftab Poonawala Ground Shraddha Walkar's Bones In Mixer: নিজের পার্টনারের হাড় মিক্সারে গুঁড়িয়ে রাস্তায় ছড়িয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিসের দেওয়া ৬৬০০ পাতার চার্জশিটে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত বছর নভেম্বরে ভয়ংকর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এসেছিল। যা শুনে বুক কেঁপে গিয়েছিল গোটা দেশের। ২৮ বছরের মুম্বইয়ের ফুডব্লগার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawalla) তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে (Shraddha Walkar) রাগের মাথায় ৩৫ টুকরো করে ফেলেছিল। আর এই হত্যার পর ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ছড়িয়েছিল আফতাব। সেই আফতাব এখন পুলিস হেফাজতে। দিল্লি পুলিস ৬৬০০ পাতার যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখানে গা শিউরে ওঠার মতো সব তথ্যই উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করার পর, তাঁর হাড় স্টোন গ্রাইন্ডারে (একপ্রকারের মিক্সার) গুঁড়িয়ে, পাওডার বানিয়ে রাস্তায় ছড়িয়েছিল। আফতাব লাশের টুকরোগুলিকে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিসকে। এখানেই শেষ নয়, আফতাব ওভাবে খুন করার পর জোমাটো থেকে চিকেন রোল এনে ডিনার করেছিল ওই রাতে।
আফতাব-শ্রদ্ধা দু'জনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। আফতাব ওয়াসি অঞ্চলে থাকে। পেশায় ফুড ব্লগার। ভাই আহাদ পুনাওয়ালার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পেজ চালাত। ইনস্টাগ্রামে রয়েছে 'হাংগ্রি চক্র' বলে এক ইনস্টাগ্রাম ফুড ব্লগ অ্যাকাউন্ট। আফতাব-শ্রদ্ধার কাজের সূত্রেই মুম্বইতে আলাপ হয়েছিল। কিন্তু দুই বাড়ি থেকে এই সম্পর্কে সম্মত্তি ছিল না। এরপর আফতাব-শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। শ্রদ্ধা যখন বিয়ের জন্য আফতাবকে জোরাজুরি করতে থাকেন, তখনই রাগের মাথায় আফতাব চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। শ্রদ্ধার বাবার থেকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েই মুম্বই পুলিস যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিসের সঙ্গে। গতবছর ২২ মে আফতাব-শ্রদ্ধার মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত কারণেই ঝগড়া বেঁধেছিল। এরপর আফতাবের নৃশংসতার শিকার হন শ্রদ্ধা। আফতাব ছুরি হাতে শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করে ফেলে। এরপর বাড়িতে একটি ফ্রিজ নিয়ে এসে দেহের টুকরোগুলি ঢুকিয়ে রাখে। এরপর আফতাব পরের ১৮ দিন রাতের অন্ধকারে, দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: Kutiya Maa Temple in UP: ভারতের এই জায়গায় গেলে কুত্তা মাইয়ার মন্দিরে আপনাকে মাথা ঠুকতেই হবে!
শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়। চিনা ছুরিতেই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে আফতাব। হাত কাটে প্রথমে। চিনা ছুরি ক্লিভার দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব। আফতাবের মেহরৌলির ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল এরকম অসংখ্য ধারালো অস্ত্র। গত ডিসেম্বরে নার্কো টেস্টে আফতাব স্পষ্ট স্বীকার করে যে সে রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল।