Kutiya Maa Temple in UP: ভারতের এই জায়গায় গেলে কুত্তা মাইয়ার মন্দিরে আপনাকে মাথা ঠুকতেই হবে!
Kutiya Maa Temple in UP: ছোট্ট একটি মন্দির। যার গায়ে লেখা-- 'জয় কুতিয়া মহারানি মা'! মানুষজন এই মন্দিরে গিয়ে প্রণামও করেন। কেন এই মন্দির? তার পিছনে রয়েছে এক অদ্ভুত গল্প। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে রয়েছে ছোট্ট এই মন্দির।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে ছোট্ট একটি মন্দির। যার গায়ে লেখা-- 'জয় কুতিয়া মহারানি মা'! মানুষজন এই মন্দিরে গিয়ে প্রণামও করেন। কেন এই মন্দির? তার পিছনে রয়েছে এক অদ্ভুত গল্প। ভারত তার বিভিন্ন ও বিচিত্র সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এ দেশে লক্ষ লক্ষ মন্দির এবং অন্যান্য আরও নানা সম্প্রদায়ের নানা উপাসনালয়ও রয়েছে। এখানে একই ধর্মের মানুষজনের মধ্যেই বিভিন্ন রকম পূজাপদ্ধতি প্রচলিত। এ দেশে পুজোর ক্ষেত্রে সরাসরি দেবদেবীর মূর্তির পাশাপাশি কেউ এখনও প্রকৃতির আদিরূপগুলির পুজোও করে। কেউ গাছ-গাছালির পূজা করে, কেউ আবার পশুদেরও গভীর বিশ্বাসে পুজো করে। যেমন, সুন্দরবনে বাঘকে বা জঙ্গল-অধ্যুষিত এলাকায় হাতিকে প্রায় দেবতার আসনে বসিয়েছে মানুষ।
কিন্তু তাই বলে কুকুর? হ্যাঁ, সেরকমই ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে। সেখানে এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে একটি কুকুরের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আসলে কুকুরী। তাকে বলা হয়েছে 'কুত্তিয়া মহারানি মা'!
মন্দিরটি ঝাঁসি জেলার মৌরানিপুর তহসিলে অবস্থিত। কুকুরীর এই মন্দিরটি মৌরানিপুরের রেভান ও কাকওয়াড়া গ্রামের সীমান্তে অবস্থিত। ছোট মন্দিরটি রাস্তার ধারে নির্মিত। রাস্তার পাশে সাদা মঞ্চে একটি কালো কুকুরের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। মানুষ এখানে আসেন,পূজা করেন, প্রণাম করেন।
কেন এরকম করা হল এই গ্রামে?
এখানকার লোকেরা বলে, এই দুটি গ্রাম জুড়েই একটি কুকুর থাকত। কুকুরটি যে কোনও পরিস্থিতিতেই খাবারের জন্য ঠিক জায়গায় পৌঁছে যেত। একবার রেভান গ্রামে একটি অনুষ্ঠান ছিল। কুকুরটি খাবার খেতে রেভানের সেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গেল। কিন্তু, সেদিন সেখানে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছিল। এর পরে কুকুরটি অন্য গ্রাম কাকওয়াড়ায় পৌঁছল। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেদিন সেখানেও খাবার পাওয়া গেল না। শোনা যায়, এভাবে না খেতে পেয়ে খিদের জ্বালায় সেদিন মারা যায় কুকুরটি।
ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় ইতিহাস বিশেষজ্ঞ হরগোবিন্দ কুশওয়াহা বলেন, কুকুরটির এই দুঃখজনক মৃত্যুতে উভয় গ্রামের মানুষ গভীরভাবে শোকাহত হন। পরে তাঁরা উভয় গ্রামের সীমান্তে কুকুরটিকে কবর দেন এবং পরে সেখানে একটি মন্দিরও নির্মাণ করে দেন। এখন এই দুই গ্রামের রীতি হল আশেপাশের গ্রামে কোনও অনুষ্ঠান হলে মানুষ এই মন্দিরে এসে কুকুরকে উদ্দেশ্য করে খাবার দিয়ে যান।