ইসরোর স্পেকট্রাম চুক্তিতে অনিয়ম, জানাল সিএজি

বিতর্কিত অন্তরীক্ষ-দেভাস `এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম` চুক্তিতে অনিয়মের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় মহাকাশ গবেষণা দফতর (ডস)-কে দায়ী করল সিএজি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা দেভাস`কে প্রাপ্যের অতির্রিক্ত আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার দায়ে ডস তথা ইসরো`র প্রধান জি মাধবন নায়ারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে মঙ্গলবার সংসদে পেশ করা এই রিপোর্টে।

Updated By: May 15, 2012, 04:06 PM IST

বিতর্কিত অন্তরীক্ষ-দেভাস `এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম` চুক্তিতে অনিয়মের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় মহাকাশ গবেষণা দফতর (ডস)-কে দায়ী করল সিএজি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা দেভাস`কে প্রাপ্যের অতির্রিক্ত আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার দায়ে ডস তথা ইসরো`র প্রধান জি মাধবন নায়ারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে মঙ্গলবার সংসদে পেশ করা এই রিপোর্টে।
২০০৫ সালে দেভাস নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে মাত্র ১০০০ কোটি টাকায় ৭০ মেগা হার্টজ এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম বণ্টন করে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা `অন্তরীক্ষ`। গত বছরের থ্রি-জি স্পেকট্রাম বিক্রির হিসেব অনুযায়ী যার বাজারমূল্য হওয়া উচিত ছিল অন্তত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। ফলে সরকারের ক্ষতি হয় প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অবশ্য ইসরোর তদন্ত রিপোর্টে অন্তরীক্ষ-দেভাস `এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম` চুক্তিতে অনিয়মের ইঙ্গিত পাওয়ার পরই চুক্তি বাতিল করে মনমোহন সরকার। সেই সঙ্গে প্রাক্তন চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার (সিভিসি) প্রত্যুষ সিন্হার নেতৃত্বে গঠিত ইসরো তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জি মাধবন নায়ার-সহ মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ৪ শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সরকারি পদপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান সি এন আর রাও। ডস এবং ইসরো`র কর্তা এ ভাস্করনারায়ণ, কে আর শ্রীধরমূর্তি ও কে এন শঙ্করের নাম ছিল এই তালিকায়।
যদিও প্রত্যুষ সিন্হা কমিটির রিপোর্ট খারিজ করে সে সময় জি নায়ারের দাবি করেন, কিছু ব্যক্তিগত কারণে ইসরোর বর্তমান ডিরেক্টর কে রাধাকৃষ্ণণ চক্রান্তে করেই তাঁকে দুর্নীতিতে দোষী প্রমাণিত করার জন্য তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করেছেন। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ করার পাশাপাশি সরকারি পদ গ্রহণের ব্যাপারে উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সরকারি সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান। যদিও এদিন সংসদে পেশ হওয়া সিএজি রিপোর্টে স্পষ্ট জানান হয়েছে, ২০০৫-এ `অন্তরীক্ষ-দেভাস এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম` চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চুক্তি প্রক্রিয়ায় প্রবল ভাবেই স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার অভাব ছিল। এবং গোটা বিষয়টির বিষয়ে সরকার ও স্পেস কমিশনের কাছে অনেক তথ্য গোপন করা হয়েছে। চুক্তিটি অনৈতিক ভাবে দেভাসের পক্ষে ছিল বলেও জানিয়েছে সিএজি রিপোর্ট।

.