জামিন পেলেন রাজা

তিহার জেলে ১৫ মাস কাটানোর পরে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আন্দিমুথু রাজা। আজ স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউসস্থিত বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক ওপি সাইনি টুজি দুর্নীতি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত নীলগিরির ডিএমকে সাংসদকে এদিন ২০ লক্ষ টাকার দু`টি বন্ডে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Updated By: May 15, 2012, 01:18 PM IST

তিহার জেলে ১৫ মাস কাটানোর পরে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আন্দিমুথু রাজা। আজ স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লির পাটিয়ালা হাউসস্থিত বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক ওপি সাইনি টুজি দুর্নীতি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত নীলগিরির ডিএমকে সাংসদকে এদিন ২০ লক্ষ টাকার দু`টি বন্ডে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিবিআই আদালতের এই নির্দেশের ফলে স্পেকট্রাম দুর্নীতি মামলার মোট ১৪ জন অভিযুক্তের প্রত্যেকেই জামিন পেলেন।
তবে জামিন দিলেও সিবিআই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মামলা চলাকালীন তামিলনাড়ুতে যেতে পারবেন না এ রাজা। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে টুজি কেলেঙ্কারির জেরে গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হবে তিহার জেলে। মনে করা হচ্ছে সন্ধের মধ্যেই মুক্তি পাবেন এ রাজা। এদিন সিবিআই আদালত রায় ঘোষণার পরই পাটিয়ালা হাউস চত্বরে উপস্থিত ডিএমকে নেতাদের মধ্যে খুশির হাওয়া বয়ে যায়।
গত ২৮ নভেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট প্রথম ডিএমকে`র রাজ্যসভা সাংসদ কানিমোড়ি-সহ স্পেকট্রাম কাণ্ডের জেলবন্দি ৫ অভিযুক্তকে জামিন দেয়। এঁদের মধ্যে ছিলেন, কলাইঙ্গার টিভি-র অধিকর্তা শরদ কুমার, বলিউড প্রযোজক নির্মাতা করিম মোরানি, কুশেগাঁও ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবলস-এর দুই অধিকর্তা রাজীব অগ্রবাল এবং আসিফ বলওয়া। পরবর্তীকালে সোয়ান টেলিকমের কর্তা বিনোদ গোয়েঙ্কা, ইউনিটেক ওয়্যারলেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় চন্দা, ডিবি রিয়েলিটি`র প্রধান শাহিদ উসমান বালওয়া, এডিএজি`র তিন শীর্ষকর্তা-সুরেন্দ্র পিপারা, হরি নায়ার, গৌতম দোশি জামিন পান।
চলতি মাসের ৯ তারিখে টুজি কেলেঙ্কারির অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। আর শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরই দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানান স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত আন্দিমুথু রাজা। জামিনের আবেদনে নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করে এ রাজা বলেন, টুজি কাণ্ডে অভিযুক্ত বাকি ১৩ জন ইতিমধ্যেই জামিন পাওয়ায় তাঁর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিক আদালত। টুজি মামলার চার্জশিট ও বিভিন্ন নথি ইতিমধ্যেই আদালতে জমা পড়ায় জেলের বাইরে এলেও প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রীর পক্ষে তাতে কোনও রদবদল করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন রাজার আইনজীবীরা।

শুধু সিদ্ধার্থ বেহুরাকে জামিন দেওয়াই নয়, বিচারপতি জি এস সিংভি এবং বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণনকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ গত ৯ মে দিল্লি হাইকোর্টের রায় খারিজ করে এ রাজার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব আর কে চান্দোলিয়াকে জামিন দেওয়ার সিবিআই আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে এর পরও ১১ মে এ রাজার জামিনের আবেদনের শুনানির সময় স্পেকট্রাম দুর্নীতির তদন্তকারী সিবিআই-এর তরফে রাজার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। সিবিআই-এর অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে স্পেকট্রাম বণ্টন করে মরিশাসের একটি সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে ২০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন এ রাজা। কিন্তু এদিন সিবিআইয়ের তরফে নতুন করে রাজার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়নি।

.