মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, বিজেপির দশ বছরের সাম্রাজ্যকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে কংগ্রেসের ইয়ং ব্রিগেড, জিত কার, জানা যাবে ২৫ নভেম্বর

মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একে অপরকে এতটুকুও জমি ছেড়ে দিতে নারাজ কংগ্রেস, বিজেপি। টানা দশ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের তখতে রাজ করেছে বিজেপি। কিন্তু এবার চিত্রটা কিছুটা অন্যরকম। দিন যত যাচ্ছে বিজেপির পালে থাবা বসাতে শুরু করেছে কংগ্রেস।

Updated By: Nov 21, 2013, 05:10 PM IST

মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একে অপরকে এতটুকুও জমি ছেড়ে দিতে নারাজ কংগ্রেস, বিজেপি। টানা দশ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের তখতে রাজ করেছে বিজেপি। কিন্তু এবার চিত্রটা কিছুটা অন্যরকম। দিন যত যাচ্ছে বিজেপির পালে থাবা বসাতে শুরু করেছে কংগ্রেস।
 
দুহাজার আটের বিধানসভার ফলাফল
 
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট আসন২৩০টি। এর মধ্যে গতবার বিজেপি পেয়েছিল ১৪৩টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ৭১টি আসন।
কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে বারোটা আসন পায় কংগ্রেস, চোদ্দোটা আসন পায় বিজেপি। কংগ্রেসের এই ঘুরে দাঁড়ানো সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত হাওয়া কিন্তু বইছে বিজেপির পালেই।
 
মধ্যপ্রদেশে দশ বছর বিজেপি রাজ। কারণ কী?
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন দলগত ভাবে বিজেপির থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ব্যক্তি শিবরাজ সিং চৌহ্বানের জনপ্রিয়তা মধ্য প্রদেশে বিজেপকে ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুলাংশে সাহায্য করেছে।
 
উন্নয়ন বিদ্যুত্‍ সড়ক এবং জল এই তিন সমস্যার অনেকটাই সমাধানের পথে
 
জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মী লাডলি যোজনা। কন্যা সন্তান জন্মালে ১৬ বছরের মাথায় এক লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কের ডিপোজিট,
 
শিক্ষার জন্য অর্থ সাহায্য, পেনশন, বিধবা ভাতা, গরীব কন্যাদের নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
তবে সবটাই যে ইতিবাচক এমনটা নয় পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা।
 
মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে ৩৫% সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের বড় অংশ পেতেই হবে। নরেন্দ্র মোদী আসরে নামতেই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিজেপি শিবির। ছবিটা আরও দ্রুত বদলাতে শুরু করে রাহুল ব্রিগেড মাঠে নামতেই। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জনপ্রিয়তা ঘুম কেড়ে নিয়েছে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বিজেপি সরকারের।
কংগ্রেসের প্লাস পয়েন্ট দ্বিগিজয় সিংদের মতন প্রবীণ নেতাদের সরিয়ে রাহুল গান্ধী, স্বচ্ছ ইমেজের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতন তরুণ ব্রিগেডকে সামনে আনা।
কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় অসংখ্য নতুন মুখ। মধ্যপ্রদেশে রাহুলের নিজে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা।
 
বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে শিবরাজ সিং চৌহ্বান, নরেন্দ্র মোদী, উমা ভারতীর বিরোধ এখন প্রকাশ্যে
 
ফলে জমে উঠেছে লড়াইটা। একমাস আগেও যেখানে ভোট সমীক্ষকরা বিজেপিকে ১৬০-এর নীচে নামাতে নারাজ ছিলেন এখন তা কমতে কমতে ১৪০ দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১১৬ ম্যাজিক ফিগারে বিজেপি পৌঁছতে পারবে?, নাকি সমাজবাদি পার্টিকে সামনে নিয়ে সরকার গড়বে কংগ্রেস তার জবাব মিলবে ২৫ নভেম্বর।
 

.