অযোধ্যা মামলা: শুরুতেই বিতর্ক, সরলেন বিচারপতি ললিত, পিছিয়ে গেল শুনানি
সাংবিধানিক বেঞ্চে তাই বিচারপতি ইউইউ ললিতের থাকাটা কি যুক্তিসঙ্গত? নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সুকৌশলে আযোধ্যা মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ইউইউ ললিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুরুতেই বিতর্ক। আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি৷ কিন্তু সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারপতি ইউইউ ললিতের থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন আইনজীবী রাজীব ধওয়ান৷ বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি ললিত৷ এরপর শুনানি মুলতুবি করতে বাধ্য হন প্রধান বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জানুয়ারি।
#AyodhyaHearing: Justice UU Lalit recuses himself from hearing the case after advocate Rajeev Dhavan pointed out that Justice UU Lalit had appeared for Kalyan Singh in the matter https://t.co/FJpoznSX7Z
— ANI (@ANI) January 10, 2019
আজ সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানির দিন ধার্য করার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের। সাংবিধানিক বেঞ্চের বাকি চারজন ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবড়ে, বিচারপতি এন বি রমণ, বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কিন্তু সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারপতি ইউইউ লতিতের থাকা নিয়ে আপত্তি তোলে মুসলিম সংগঠনের আইনজীবী রাজীব ধওয়ান। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চবদলের দাবি জানান তাঁরা। বাবরি মসজিদ মামলার বিচারপতি ছিলেন ইউইউ ললিত। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং-এর আইনজীবী ছিলেন ইউইউ ললিত। সাংবিধানিক বেঞ্চে তাই বিচারপতি ইউইউ ললিতের থাকাটা কি যুক্তিসঙ্গত? নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সুকৌশলে আযোধ্যা মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ইউইউ ললিত।
Supreme Court fixes January 29 as the next date of hearing https://t.co/AIQ6k0g20U
— ANI (@ANI) January 10, 2019
অযোধ্যা মামলার সাংবিধানিক বেঞ্চে আর জায়গা পাবেন না বিচারপতি ইউইউ ললিত। জানিয়ে দেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। বিচারপতি ললিতের জায়গায় বেঞ্চে স্থান পাবেন অন্য বিচারপতি। ফলে নতুন করে বেঞ্চ গঠন করা হবে৷ সেই বেঞ্চেই হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জানুয়ারি। সেদিন অযোধ্যা মামলার শুনানির দিন ঠিক করা হবে। তাছাড়া, এই মামলা সংক্রান্ত বহু নথি হিন্দি, উর্দু এবং সংস্কৃত ভাষাতে রয়েছে। সেই নথিগুলি ইংরেজিতে অনুবাদ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত শুনানি সম্ভব নয় বলে দাবি করেন মুসলিম সংগঠনের আইনজীবীরা।