কিছু এলাকায় মধ্যবিত্ত, স্বনির্ভর মানুষের জন্য ফের ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা শুরু করল বন্ধন ব্যাঙ্ক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০ এপ্রিল থেকে কিছু পরিষেবায় নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার ব্যাপারে পরিবর্তিত নির্দেশিকা ঘোষণা করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Apr 22, 2020, 07:44 PM IST
কিছু এলাকায় মধ্যবিত্ত, স্বনির্ভর মানুষের জন্য ফের ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা শুরু করল বন্ধন ব্যাঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধন ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে যে তারা ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা ফের শুরু করেছে। ছোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে গ্রাহকদের এই ধরনের ঋণের প্রয়োজন তাঁদের জন্য কম সংখ্যক কর্মীকে নিয়ে সীমিত এলাকায় এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার পরিধি ক্রমশ বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে ব্যাঙ্কএর পক্ষ থেকে।

লকডাউন সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে বন্ধন ব্যাঙ্কের শাখাগুলি সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে পরিষেবা চালু রেখেছিল। কিন্তু ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা চালু ছিল না। সরকার গ্রিন জোন বলে যে এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছে কেবল সেই এলাকাগুলিতেই ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ী, কৃষি ও তার সহায়ক কাজের ক্ষেত্রে অর্থের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, এঁরা দৈনন্দিন ব্যবসার জন্য ক্ষুদ্র ঋণের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল। তা ছাড়া ফসল কাটার সময়ও এগিয়ে আসছে। এই সময়ে ফসল কাটা ও পরবর্তী চাষের প্রস্তুতির জন্য চাষীদের অর্থের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক তাঁদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মুদিখানা, যে সব দোকানদার খাবার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর বিক্রির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বেশির ভাগই বন্ধন ব্যাঙ্কের নিয়মিত ঋণ গ্রাহক। তাঁদের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেও ঋণ পরিষেবা পুনরায় শুরু করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য পেয়ে গেলে, তাঁরা আবার তাঁদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করতে পারবে। তার পর ক্রমশ তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে।

বন্ধন ব্যাঙ্কের ৪৫০০ ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মধ্যে অনেকগুলি এমন জায়গায় রয়েছে যেগুলির মোটামুটি ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই বেশির ভাগ গ্রাহকরা থাকেন। ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা যে গ্রাহকরা হেঁটেই অধিকাংশ স্থানে ব্যাঙ্কিং আউটলেটে পৌঁছে যাবেন। কিছু এলাকায়, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক অবধি পৌঁছতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবেন।

আরও পড়ুন: চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোস নয়, নতুন আইন নিয়ে বললেন মোদী

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যে ধরনের কর্মসূচী পালন করছে তাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। গ্রাহকরা ব্যাঙ্কিং আউটলেটে গেলে ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁদের কিছু সতকর্তা মেনে চলতে বলবেন। যেমন, তাঁরা যেন মাস্ক বা কাপড় দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখেন, সোশাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলেন ইত্যাদি। ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাঙ্কিং আউটলেটে ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

.