বিশ্ব রাজনীতিতে ফের দিল্লি বনাম বেজিং

ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব রাজনীতিতে ফের দিল্লি বনাম বেজিং। পরমাণু জ্বালানি ও প্রযুক্তি সরবরাহকারী গোষ্ঠী NSG। ভারত চায় তার সদস্য হতে। পাশে রয়েছে দূরের বন্ধু আমেরিকা। কিন্তু প্রতিবেশি চিনই পথের কাঁটা। রাজনীতির আজব খেল। পরমাণু পরীক্ষা করায় ভারতের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। সেই আমেরিকাই এখন অসামরিক পরমাণু বিশ্বে ভারতের সবচেয়ে বড় উকিল।
হোয়াইট হাউসের দাবি, NSG-র সদস্য হতে ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণের যে পরিকাঠামো প্রয়োজন ভারতের তা রয়েছে। অর্থাত্, NSG-র সদস্যপদে খোলাখুলি ভারতকে সমর্থন। রুখবে কে? উত্তর সহজ। পাকিস্তানের বন্ধু কোনও দেশ। নামটা চিন। বেজিংয়ের দাবি, NSG-র সদস্য হতে হলে পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তি সই করা জরুরি। ভারত তা করেনি। ভারতকে রুখতে আরও বেশ কিছু সদস্য দেশ চিনের পাশে রয়েছে। কেন এত রাগ চিনের? মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বলছে, রাগ নয় আসলে ভারতের সামরিক শক্তিকে ভয় পাচ্ছে চিন।
চিনের সন্দেহ পরমাণু অস্ত্র ও প্রযুক্তিতে তলে তলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারত। তাই ভারত-রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সামরিক সমঝোতাকে ভয় পাচ্ছে বেজিং।
এই ত্রিশক্তির মোকাবিলায় নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে লাল ফৌজ। পিপলস লিরাবেশন আর্মির যোগাযোগ ও তথ্য আদানপ্রদানকে উন্নত করা হচ্ছে।
ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিশাইলগুলিকেও ব্যবহারের উপযোগী করে রাখা হচ্ছে। ওয়েব দুনিয়া বা সাইবার স্পেসেও ভারতকে বেকায়দায় ফেলার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লালফৌজের দেড়লক্ষ বেতনভুক হ্যাকার। সামরিক শক্তি এখন প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায়। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উপমহাদেশে সেই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সবার অলক্ষ্যে।