রাহুলের আইসিস মন্তব্যে ব্যাখ্যা চাইল বিজেপি

রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ শানাল বিজেপি। 

Updated By: Aug 23, 2018, 07:55 PM IST
রাহুলের আইসিস মন্তব্যে ব্যাখ্যা চাইল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের বৃহত্ অংশের মানুষকে উন্নয়নপ্রক্রিয়ার বাইরে রাখলে আইসিসের মতো সন্ত্রাসবাদী দল তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন রাহুল গান্ধী। জার্মানির মাটিতে কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র বলেন, ''সন্ত্রাসবাদের সাফাই দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। নিন্দাজনক মন্তব্য করেছেন তিনি। এর ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁকে''। টুইটারে সম্বিত্ পাত্র বলেন, ''রাহুল গান্ধীর দেশের সংখ্যালঘুদের অপমান করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি লক্ষ্য স্থির করতে না পারলে অন্য কেউ (পড়ুন আইসিস) লক্ষ্য নিয়ে নেমে পড়বে দেশে। অবিশ্বাস্য! তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী''।

সাংবাদিক বৈঠকে সম্বিত্ পাত্র বলেন, ''রাহুল গান্ধীর মন্তব্য বিপজ্জনক। সিরিয়ায় আইসিস গঠনের সাফাই দিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি। যাঁরা আইসিসের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন রাহুল গান্ধী। ভারত ও ভারতের সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন আপনি''। 

জার্মানির হামবুর্গের বুসেরিয়াস সামার স্কুলের একটি সভায় রাহুল গান্ধী বলেন, একটা বড় অংশের মানুষকে উন্নয়নপ্রক্রিয়ার বাইরে রাখলে বিশ্বের যে কোনওপ্রান্তেই বিচ্ছিন্নতাবাদী দল তৈরি হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, ''দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের উন্নয়নপ্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা বিপজ্জনক হতে পারে। একবিংশ শতকেও মানুষকে উন্নয়নপ্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হচ্ছে''।

ভারতে গণপিটুনির ঘটনাগুলির সঙ্গেও বেকারত্বের যোগ টেনে এনেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, জিএসটি-র দুর্বল রূপায়ন ও নোট বাতিলের পর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট ব্যবসা। চাকরি নেই। এর ফলে গণপিটুনির মাধ্যমে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। 

রাহুল আরও বলেন, ''সমাজের সম্ভ্রান্তদের মতো আদিবাসী,  গরিব চাষি, নিম্নবর্গ ও সংখ্যালঘুদের সমান সুবিধা দিতে চায় না ওরা। এই সমস্ত শ্রেণির মানুষের সহযোগিতায় যে কাঠামো রয়েছে, তাও বিজেপির নিশানায়। এটাই শুধু নয়, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি, ছোট ও মধ্যম  ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী''।

রাহুল গান্ধীর মতে,'২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করেছিল ইরাক। তারা এমন একটি আইন  এনেছিল, যাতে ইরাকের একটি বিশেষ আদিবাসী শ্রেণির সেনা ও সরকারি দফতরে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বিশাল সংখ্যক মানুষ বিদ্রোহে সামিল হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহত হন প্রচুর মানুষ। সেটা ওখানেই শেষ হয়নি। ইরাক ও সিরিয়ার ঢুকে পড়েছিল সেই বিদ্রোহ। এর থেকেই জন্ম ভয়ঙ্কর আইসিসের'।

আরও পড়ুন- অটলকে নিয়ে রাজনীতি করছেন ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী, অভিযোগ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝির

.