আশঙ্কাই সত্যি হল, নেত্রাবতী নদী থেকেই উদ্ধার সিসিডি কর্ণধারের দেহ!
বুধবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ নেত্রাবতী নদী থেকেই উদ্ধার হয় সিসিডি কর্ণধারের দেহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে খোঁজ মিলল বিখ্যাত রেস্তোরাঁ চেন ক্যাফে কফি ডে-র প্রতিষ্ঠাতা ভি জি সিদ্ধার্থর। পাওয়া গেল তাঁর নিথর দেহ। বুধবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ নেত্রাবতী নদী থেকেই উদ্ধার হয় সিসিডি কর্ণধারের দেহ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেত্রাবতী নদীতে ও তার সংলগ্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছিল পুলিশ, উপকূল রক্ষা বাহিনীর ডুবুরিরা। সিসিডি কর্ণধারের অনুসন্ধানে সামিল হয়েছিলেন প্রায় ৪০০ জনের একটি দল। মেঙ্গালুরুরর পুলিশ কমিশনার সন্দীপ পাতিল জানান, দেহ উদ্ধারের পর সিদ্ধার্থর দেহ ময়না তদন্তের জন্য ভেনলক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারকেও।
Mangaluru Police Commissioner Sandeep Patil: We found the body early morning today. It needs to be identified, we have already informed the family members. We are shifting the body to Wenlock Hospital. We will continue further investigation. #Karnataka pic.twitter.com/bViP94Mpit
— ANI (@ANI) July 31, 2019
সোমবার সন্ধ্যা থেকে খোঁজ মিলছিল না ক্যাফে কফি ডে-র প্রতিষ্ঠাতা ভি জি সিদ্ধার্থর। পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় মেঙ্গালুরুর জেপ্পিনা মোগারু এলাকায় নেত্রাবতী নদীর উপরে উল্লাল সেতুতে চালককে গাড়ি থামাতে বলে গাড়ি থেকে নেমে যান ক্যাফে কফি ডে-র কর্ণধার। এর পর থেকেই আর কোনও খোঁজ মিলছিল না তাঁর। তাঁর ফোনও সুইচ অফ ছিল। সোমবার নেত্রাবতী নদীতে এক ব্যক্তিকে ঝাঁপ দিতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: আয়কর আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিখোঁজ সিসিডি কর্ণধারের চিঠিতে!
Founder & owner, Cafe Coffee Day (CCD), #VGSiddhartha's letter to employees and board of directors of CCD, states, "Every financial transaction is my responsibility...the law should hold me & only me accountable."; He has gone missing from Mangaluru, search operation underway. pic.twitter.com/0GJc5vmvYt
— ANI (@ANI) July 30, 2019
এর মধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে আসে নিখোঁজ ভি জি সিদ্ধার্থর লেখা একটি চিঠি। এই চিঠিতে সামনে আসে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য! এই চিঠি সিদ্ধার্থ লিখেছিলেন তাঁর কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এক প্রাইভেট ইকুইটি পার্টনার (অংশীদার) তাঁকে শেয়ার ‘বাই ব্যাক’-এর জন্য চাপ দিচ্ছেন। মাস ছয়েক আগে এক বন্ধুর থেকেও বিপুল অঙ্কের টাকা ধার করেছেন তিনি। আরও অনেক পাওনাদার তাঁর ওপরে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে। শুধু পাওয়াদারের চাপই নয়, ইনকাম ট্যাক্সের প্রাক্তন ডিজি-এর বিরুদ্ধেও তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন সিসিডি কর্ণধার। প্রচণ্ড মানসিক চাপ তিনি যে আর সহ্য করতে পারছেন না, তা-ও সেখা রয়েছে এই চিঠিতে। এই চিঠিতে নিজের ব্যবসার মডেলের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।