কালীঘাটে বৈঠক শেষ, নেতৃত্ব ও রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করলেন মমতা- চন্দ্রবাবু
গতকাল শেষ শেষ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এর পর বিভিন্ন এজেন্সির বুথ ফেরত্ সমীক্ষার রিপোর্টে ফের গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে এনডিএ
নিজস্ব প্রতিবেদন: কালীঘাটের বাড়িতেই টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি না হয়েই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন থেকে রওনা দেন চন্দ্রবাবু। তবে, সূত্রের খবর, ২৩ মে-র ফলাফল পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের। সব রকমের সম্ভাব্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। অবিজেপি ও আঞ্চলিক দলগুলিকে এক সুঁতোয় বাঁধতে আর কয়েক দফা আলোচনা চালিয়ে যাবেন চন্দ্রবাবু। জানা যাচ্ছে, অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন চন্দ্রবাবু নায়ডু।
সূত্রে খবর, ২৩ মে-র ফলাফল বেরনোর পর বিরোধীদের সরকার গড়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার নেতৃত্ব নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে। এ সময় অন্যান্য দলের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে একটা রূপরেখাও তৈরি হয় বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি।
গতকাল শেষ শেষ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এর পর বিভিন্ন এজেন্সির বুথ ফেরত্ সমীক্ষার রিপোর্টে ফের গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে এনডিএ। কংগ্রেস ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলের প্রাপ্ত আসনের সরকার গড়া যে কঠিন সে আভাসও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধীরা বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় ভরসা রাখছেন না। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গসিপ’ বলে কটাক্ষ করেন। সমীক্ষার রিপোর্ট ভিত্তিহীন বলে দাবি কংগ্রেসের। বিরোধীদের সাফাই, ২৩ মে-ই প্রমাণ হয়ে যাবে দেশের ক্ষমতা কার হাতে।
আরও পড়ুন- কমল নাথের সরকারকে ফেলতে আদাজল খেয়ে নামল বিজেপি
বিরোধীদের এক জোট করে নির্বাচনে লড়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগ্রেডে সব বিরোধী দলকে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়ে মহাজোটের বার্তা দিয়েছেন তিনি। পরবর্তীকালে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদের মধ্যে বনিবনা তৈরি হয়। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলও দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, মায়াবতী ও অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চন্দ্রবাবু। ২৩ মে-র আগে আরও কয়েক দফা আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।