সৎকার করার টাকা নেই, ছেলের দেহ হাসপাতালে দান করলেন মা
বামানের এক আত্মীয় সংবাদ মাধ্যমে জানান, ”কেউ আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার টাকা নেই। দেহ নিয়ে গেলেও সৎকার করতে পারব না। হাসপাতালের একজন যুক্তি দিলেন দেহ দান করে দিতে। সেটাই শেষপর্যন্ত করেছি।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: অর্থের জোগাড় করতে না-পারায় ছেলের দেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেন না মা। বাধ্য হয়ে ছেলের দেহ দান করে গেলেন মেডিক্যাল কলেজে। ছত্তিশগড়ের ঘটনা।
সোমবার ছত্তিশগড়ের জগদলপুরে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন বছর একুশের বামান নামে এক যুবক। আহত বামানকে নিয়ে আসা হয় জগদলপুর মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। ১৫ ফেফেব্রুয়ারি বামানের মৃত্যু হয়।
এদিকে, ছেলের মৃত্যু পর বিপাকে পড়ে যান বামানের মা। কোনও ভাবেই ছেলের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পরেননি তিনি। বামানের এক আত্মীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ”কেউ আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার টাকা ছিল না। দেহ নিয়ে গেলেও সৎকার করতে পারব না। হাসপাতালের একজন যুক্তি দিলেন দেহ দান করে দিতে। সেটাই শেষ পর্যন্ত করেছি।”
আরও পড়ুন-পিএনবি আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডের তল্লাশি দুর্গাপুরে, নীরবের আত্মীয়ের গয়নার দোকানে ইডি হানা
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার মঙ্গল সিংও ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মৃতের পরিবার অত্যন্ত গরিব। সৎকার করার মতো পয়সাও ওদের ছিল না। তাই ওদের পরামর্শ দিয়েছিলাম দেহ দান করে দিতে।’
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রমন সিং সরকারের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র সঞ্জয় শ্রীবাস্তব মন্তব্য করেছেন, ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’