হরিয়াণায় চার্চ ভাঙচুর করে প্রতিষ্ঠা করা হল হনুমানের মূর্তি, আটক ১৪
শনিবার হরিয়াণার একটি হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হল নির্মীয়মান একটি চার্চ। এই চার্চটির পাশেই হনুমানের একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি অঞ্চলের সমস্ত জমির অধিকার শুধুমাত্র ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরই।
হিসার: শনিবার হরিয়াণার একটি হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হল নির্মীয়মান একটি চার্চ। এই চার্চটির পাশেই হনুমানের একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি অঞ্চলের সমস্ত জমির অধিকার শুধুমাত্র ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরই।
চার্চটির যাজক সুভাষ চন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মাস খানেক ধরেই বজরং দল তাঁকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ চার্চটি ভাঙারপিছনে এই গেরুয়া বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, অক্টোবর থেকে হরিয়াণার মসনদ বিজেপির দখলে।
পুলিস জানিয়েছে, গ্রামটির সরপঞ্চ সত্যপাল গত কয়েকদিন ধরেই দাবি করছিলেন যে খানে এউ চার্চটি গড়ে উঠছে সেটি আসলে বসতভূমি তৈরির জন্য ছিল। স্থানীয়দের দাবি যাজক সুভাষ চন্দ্র যখন জমিটি কিনেছিলেন তখন নাকি বলেছিলেন এই জমিতে বাড়ি তৈরি করবেন তিনি। মাসখানেক আগে গ্রামবাসী বুঝতে পারেন জমিটিতে আদতে একটি চার্চ তৈরি হচ্ছে। গ্রামবাসীদের দাবি তাঁরা নাকি ফেব্রুয়ারি মাসে একটি পঞ্চায়েত মিটিংয়ে যাজককে এই চার্চ তৈরি বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
কিন্তু আপত্তি সত্ত্বেও চার্চ তৈরির কাজ বন্ধ না হওয়ায় অভিযোগ গ্রামবাসীরা চার্চটিতে ভাঙচুর চালায়। সেই জায়গায় একটি গেরুয়া পতাকা আর হনুমান মূর্তি স্থাপন করে জমিটির উপর জোর করে নিজেদের অধিকার জানায়।
ফাদার সুভাষ চন্দ্রের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিস। যদিও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। পুলিস জানিয়েছেন এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
গত দু'মাসে দিল্লিতে একের পর ক্রিশ্চান প্রতিষ্ঠান ও চার্চের উপর আক্রমণ চলেছে। গত মাসে ভাঙচুর করা হয়েছে ম্যাঙ্গালোরের একটি চার্চ। হিন্দু মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ এনেছেন ক্রিশ্চান সহ অনান্য ধর্মী সংখ্যালঘুরা।