Congress President: আজ বৈঠকে রাহুল-সনিয়া-গেহলত, কে হবেন রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী?
রাজেন্দ্র গুড়া মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। তবে, গুড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি কোনও মুখের সঙ্গে নেই। গুড়া বলেন, 'আমাদের কংগ্রেসের নেতারা .. সোনিয়া জি, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা সবাই মেনে নেবেন’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা এখন কেরালার ত্রিশুরে পৌঁছেছে। যদিও, আজ এই যাত্রায় বিশ্রামের দিন এবং এর মধ্যেই দিল্লিতে এসেছেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, আজ সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতও এই বৈঠকে যোগ দেবেন। বলা হচ্ছে রাহুল গান্ধী এবং অশোক গেহলত একই চার্টার প্লেনে দিল্লি এসেছেন। সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং অশোক গেহলতের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠকে রাজস্থানের নেতৃত্ব কাকে দেওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ অশোক গেহলত কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম অনুমোদন হতে পারে।
রাজস্থানের পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রাজেন্দ্র গুড়া ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যদি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত দলের জাতীয় সভাপতি হন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং যদি শচীন পাইলট নির্বাচিত হন এবং তাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় সেই ক্ষেত্রে তিনি এবং অন্য পাঁচজন বিধায়ক বিরোধিতা করবেন না। গুড়া সেই ছয়জন বিধায়কের একজন যারা বিএসপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Rice Price: সাধারণ মানুষের জন্য বড় ধাক্কা! আরও বাড়বে চালের দাম; কারণ জানাল সরকার
রাজেন্দ্র গুড়া মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। তবে, গুড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি কোনও মুখের সঙ্গে নেই। গুড়া বলেন, 'আমাদের কংগ্রেসের নেতারা .. সোনিয়া জি, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা সবাই মেনে নেবেন’।
রাজেন্দ্র গুড়া জয়পুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেন, ‘আমাদের ছয়জন বিধায়ক সবাই আজ কংগ্রেসম্যান। আমরা কংগ্রেসের সদস্য এবং বিধানসভাতেও কংগ্রেসের সদস্য, তাই সোনিয়া জি, রাহুল জি, প্রিয়াঙ্কা জি সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাব’।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ২৩ হেভিওয়েট নেতার বিক্ষোভের পর জল অনেক দূর গড়িয়েছিল। সোনিয়া গান্ধীর ছত্রছায়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতা। তার পরই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দলের সভাপতি নির্বাচন করতে চলেছে জাতীয় কংগ্রেস। সেই নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছেন শশী থারুর। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতও জানিয়েছেন, শশী যদি লড়াইয়ে নামতে পারেন তাহলে আমি কেন নয়। অর্থাত্ বড়সড় অঘটন না ঘটলে ১৯ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে লড়াইয়ে নামছেন গেহলত। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন? নাকি সোনিয়ার আশীর্বাদে দুই দায়িত্বই পালন করবেন তিনি।