Rice Price: সাধারণ মানুষের জন্য বড় ধাক্কা! আরও বাড়বে চালের দাম; কারণ জানাল সরকার
ভারত থেকে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ফলে চিনে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন সরকারের দেওয়া তথ্যে দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রকের মতে, ভারতীয় নন-বাসমতি চালের আন্তর্জাতিক দাম প্রতি কেজি প্রায় ২৮-২৯। যা দেশের দামের তুলনায় বেশি। নন-বাসমতি চালের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চালের দাম কমিয়ে দেবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী কিছুদিনে চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। খরিফ মরসুমে কম ফলনের পূর্বাভাস এবং নন-বাসমতি চাল রপ্তানিতে ১১ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে ভারতের চাল রপ্তানি নীতিতে সাম্প্রতিক সংশোধনীর পিছনে থাকা কারণ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মন্ত্রক আরও বলেছে যে ভারতের চাল রপ্তানির নিয়মের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি রপ্তানির জন্য সাপ্লাই হ্রাস না করে ‘অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছে’।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে, সরকার ভাঙ্গা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে এবং নন-বাসমতি চালের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে। খাদ্য মন্ত্রক তথ্য পত্রে বলেছে, ‘অভ্যন্তরীণ চালের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং প্রায় ছয় মিলিয়ন টন ধানের উৎপাদন কম হয়েছে এবং নন-বাসমতি চালের রপ্তানিতে ১১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের কারণে দাম বাড়তে পারে’।
১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালের খুচরা মূল্য সপ্তাহে ০.২৪ শতাংশ, মাসে ২.৪৬ শতাংশ এবং বছরের তুলনায় ৮.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচ বছরে গড়ে ১৫.১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশীয় ভাঙ্গা চালের দাম, যা খোলা বাজারে প্রতি কেজি ১৬ টাকা ছিল, রাজ্যগুলিতে প্রায় ২২ টাকা বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পোল্ট্রি এবং পশুপালন যারা করেন তারা ফিড উপাদানের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। এর কারণ পোল্ট্রি ফিডের জন্য প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ ইনপুট খরচ ভাঙা চাল থেকে আসে।
আরও পড়ুন: DA: সত্যিই কি বাড়ছে মহার্ঘ ভাতা? দেখে নিন ডিএ বৃদ্ধিতে চালু হল কোন নতুন নিয়ম
ভারত থেকে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ফলে চিনে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন সরকারের দেওয়া তথ্যে দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রকের মতে, ভারতীয় নন-বাসমতি চালের আন্তর্জাতিক দাম প্রতি কেজি প্রায় ২৮-২৯। যা দেশের দামের তুলনায় বেশি। নন-বাসমতি চালের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চালের দাম কমিয়ে দেবে।
চিনের পর ভারত সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন করে। ভারতের চাল বিশ্ববাজারের ৪০ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারত ২১.২ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে। এতে ৩৪.৯ লাখ টন বাসমতি চাল ছিল। ভারতে চলতি খরিফ মরসুমে ধান উৎপাদনের এলাকা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দেশীয় বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।