জেলে ঢোকার আগেও হানিপ্রীতের সঙ্গে একটি ঘরে আড়াই ঘণ্টা নিভৃতে কাটান রাম রহিম!

Updated By: Aug 29, 2017, 01:34 PM IST
জেলে ঢোকার আগেও হানিপ্রীতের সঙ্গে একটি ঘরে আড়াই ঘণ্টা নিভৃতে কাটান রাম রহিম!

ওয়েব ডেস্ক:  ‘আপনি লাল গোলাপের থেকেও সুন্দর, আমি মনপ্রাণ দিয়ে আপনার সব স্টাইল এবং ভঙ্গিমাগুলি ভালবাসি।’ শুধু তাই নয়, রোম্যান্টিক মিউজিকের সঙ্গে বানানো একটি ভিডিও-তে লেখে, ‘তুমি আমার জীবনটাকে ফুলের মতোই ভরিয়ে দিয়েছো।’ 'বাবা মেয়ের' সম্পর্কটা এরকম হয় আদৌ! রোজ ডে-তে রাম রহিমকে করা হানিপ্রীত সিংয়ের একটি ট্যুইট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আরও জোরালো হয়েছে সেই দাবি।

 

 রাম রহিম ও হানিপ্রীত সিংয়ের সম্পর্ক নিয়ে নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলছেন। সেই বিতর্কেই আবার পাঁচফোড়নের কাজ করছে নতুন উঠে আসা বেশ কিছু বিষয়।

এই হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়ঙ্কা তানেজা। বিশ্বাস গুপ্তা নামে ডেরার এক অনুগামীর প্রাক্তন স্ত্রী হানিপ্রীত। বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতের বিবাহবিচ্ছেদের কারণও বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতের ঘনিষ্ঠতা। হানিপ্রীতের প্রাক্তন শ্বশুর মহেন্দ্রপাল গুপ্ত অতীতে অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতকে একদিনও থাকতে দেয়নি রাম রহিম। তাঁদের অভিযোগ, হানিপ্রীতের সঙ্গে নিজের অবৈধ সম্পর্ক আরও সহজে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়েছিল রাম রহিম। 

 

এছাড়াও ডেরা সচ্চা সওদার আশ্রমে যে সাধ্বীরা বাবার লালসার শিকার হয়েছেন, তাঁদেরও অভিযোগ, বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতকে একাধিকবার ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছেন তাঁরা। অনেকেই বলছেন, রাম রহিম ও হানিপ্রীতের মধ্যে বাবা মেয়ের সম্পর্কটা কেবলই লোক দেখানো। তা না হলে, কেন জেলেও হানিপ্রীতকে কাছে পেতে চেয়েছিলেন রাম রহিম। সেটা অবশ্য হয়ে ওঠেনি। তবে জেলে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার সঙ্গ ছাড়েনি হানিপ্রীত। জেলে ঢোকার আগে সার্কিট হাউজে দু’জনে একটি ঘরে ঘণ্টা আড়াই নিভৃতে কাটায় বলেও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

.