Manish Kothari: 'গরু পাচারের টাকাতেই সুকন্যার ১৬ কোটির FD', জেরায় মুখ খুললেন কেষ্টর অ্যাকাউন্ট্যান্ট

১৫ মার্চ কোর্টে ইডির আইনজীবী এ কথা জানানোর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন মণীশ। তারপরই পাল্টা ইডি অফিসারদের বিস্ফোরক তথ্য দিতে থাকন। এমনকী মণীশের দাবি, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার ১৬ কোটির ফিক্সট ডিপোজিট।

Updated By: Mar 17, 2023, 02:14 PM IST
Manish Kothari: 'গরু পাচারের টাকাতেই সুকন্যার ১৬ কোটির FD', জেরায় মুখ খুললেন কেষ্টর অ্যাকাউন্ট্যান্ট
ফাইল ছবি

জ্যোতির্ময় কর্মকার: কেষ্টর কোর্টে বল কোঠারির। এদিন জেরায় একের এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। ইডি সূত্রে দাবি, অনুব্রতর নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় লগ্নি। সিএ হিসেবে কাজ করে গেছেন। জেরায় জানিয়েছেন মণীশ। জেরায় সব দায় মণীশের উপর চাপিয়ে দিয়েছে অনুব্রত। ১৫ মার্চ কোর্টে ইডির আইনজীবী এ কথা জানানোর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন মণীশ। তারপরই পাল্টা ইডি অফিসারদের বিস্ফোরক তথ্য দিতে থাকন। এমনকী মণীশের দাবি, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার ১৬ কোটির ফিক্সট ডিপোজিট।

আরও পড়ুন, Vande Bharat Express: খাবারের ট্রে-র উপরে বসে মহিলা, ভাইরাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ছবি

তিনি নাকি, অনুব্রতর নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রতই। তিনি শুধু পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে নির্দেশ কার্যকর করেছেন। তবে টাকা পয়সার বিষয়ে সব জানেন মণীশবাবু। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ওই বয়ানের সূত্র ধরেই  টানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের চ্য়াটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারিকে। ২০১৬ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রাখার দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেন মণীশ।

এর পাশাপাশি সুকন্যা মণ্ডলের একাধিক সংস্থার হিসেব দেখতেন তিনি। মনে করা হচ্ছে অনুব্রত ও সুকন্যার বিপুল টাকার লেনদেন, তার সেল কোম্পানির টাকা, বিপুল করতে ব্য়বহার করা হয়েছে মণীশ কোঠারিকে। জানা গিয়েছে, সায়গল হোসলেন অ্যাকাউন্টও দেখতেন মণীশ। অনুব্রতর কালো টাকা সাদা করেছেন এই মণীশই। 

অন্যদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানি শুরু হয়। আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে নিম্ন আজদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে  হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। তাঁর আরও অভিযোগ, স্থানান্তরের সময় মানা হয়নি আইনি প্রক্রিয়া। এদিন অনুব্রত মামলায় দিল্লি গেলেন তাঁর রাঁধুনি বিজয় রজক। দিল্লির ইডি দফতরে শুক্রবার হাজিরা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রশ্ন, বিজয় রজকের এতো বিশাল সম্পত্তি কোথা থেকে এল। 

আরও পড়ুন, উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ, ৬ রাজ্যকে কড়া চিঠি কেন্দ্রের

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.