ভূমিধসে কেরলের পেট্টিমুডি এখন কাদা-বোল্ডারের স্তূপ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮
ঘটনাস্থলে এখনও কাজ করছে এডিআরএফের ৫৫ জনের একটি টিম। এদের কাজ এখন লাশ খুঁজে বের করা

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের ইডুক্কি জেলার ভূমি ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৮।
রবিবার ইডুক্কির পেট্টিমুডির টি এস্টেট থেকে আরও দুটি লাখ উদ্ধার হল। দুর্ঘটনাস্থলে মোট ৭৮ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ওই ২৮ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারের ওই ঘটনার পর এতদিনে স্নিফার ডগ এনে তল্লাশির কথা ভাবছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-করোনা নেগেটিভ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জানালেন দিল্লির বিজেপি নেতা
প্রবল বৃষ্টিতে পেট্টিমুডিতে ছবির মতো ওই জায়গাটি এখনও কাদা আর বোল্ডারের স্তূপ। ইতিউতি জেগে রয়েছে ছাউনির করোগেট। কাদায় চাপা পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকা।
টানা বৃষ্টির মধ্যে শুক্রবার খুব ভোরে পাহাড়ে ঢাল বয়ে নেমে আসে কাদামাটির স্রোত। দুর্ঘটনাস্থলে মাটির বাড়ি বানিয়ে ছিলেন ৭৮ জন চা শ্রমিক। এদের অধিকাংশ এসেছিলেন তামিলনাড়ু থেকে। এদের সবার ঘরের ওপর দিয়ে বয়ে যায় কাদার স্রোত। ঘটনাস্থলে এখনও কাজ করছে এডিআরএফের ৫৫ জনের একটি টিম। এদের কাজ এখন লাশ খুঁজে বের করা।
আরও পড়ুন-প্রতিরক্ষায় "আত্ম নির্ভর" ভারত! ১০১ যন্ত্রাদির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
এদিকে, ইডুক্কি, মালাপুরম ও ওয়েনাড় জেলায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। টানা বৃষ্টি, প্রতিটি নদীর ব্যরেজ খুলে দেওয়াতে কেরলের বেশ কয়েকটি জেলা এখন জলমগ্ন। বেশি প্রভাব পড়েছে আলাপুজা ও কোট্টায়ম জেলার নীচু এলাকায়। এরনাকুলাম জেলায় এখন প্রায় বারোশো মানুষ রয়েছেন ক্য়াম্পে।