JNU হামলার ১৭ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস

JNU হামলার ১৭ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস। দিল্লি পুলিসের ক্রাইমব্রাঞ্চের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

Updated By: Jan 6, 2020, 11:29 AM IST
JNU হামলার ১৭ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: JNU হামলার ১৭ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস। দিল্লি পুলিসের ক্রাইমব্রাঞ্চের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে JNU ক্যাম্পাসে বেলাগাম তাণ্ডব। ঘটনার জন্য নাম না করে বাম ছাত্রছাত্রীদের দিকেই আঙুল তুলল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে থাকা পড়ুয়ারাই ছিল হামলার পিছনে। বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত দেখেই পুলিসকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিস পৌছনোর আগেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। দাবি JNU কর্তৃপক্ষের।

অন্যদিকে আক্রান্ত পড়ুয়াদের বক্তব্য, পুলিস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ছিল কার্যত নীরব দর্শক। গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে একাধিক অভিযোগ এসেছে বলে জানায় দিল্লি পুলিস। এর প্রেক্ষিতেই হবে FIR, জানিয়েছে পুলিস। বাম ছাত্র আন্দোলনকে দমাতেই এই হামলা বলে অভিযোগ JNSU-এর। রাতের অন্ধকারে JNU ক্যাম্পাসে হামলা মুখোশধারী কিছু দুষ্কৃতী। হামলায় রক্ত ঝরে হস্টেলে। মাথা ফাটে স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। হামলায় জখম অধ্যাপক সুচরিতা সেন। ABVP-র বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে হামলার অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ABVP।

আরও পড়ুন- জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশ পরে হামলা দুষ্কৃতীদের, মাথা ফাটল ছাত্রসংসদের সভানেত্রী ঐশীর

রবিবার সন্ধেয় সবরমতী হস্টেল, মাহি মান্ডভি হস্টেল ও পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, রড দিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পেটানো হয়। হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাম ছাত্র যুবরা। SFI শিবিরের অভিযোগ, মাফলার, আর মুখোশে মুখ ঢেকে ABVP-র গুন্ডারা হস্টেলে ঢুকে পড়ে। তাদের কারো হাতে ছিল লাঠি, কারো হাতে রড, কারো হাতে আবার হাতুড়ি। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই চলতে থাকে মার। SFI স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের তরফে টুইট করে দাবি করা হয়েছে, সবরমতী হস্টেল লক্ষ করে প্রথমে পাথর ছোড়া শুরু হয়। তারপর  হস্টেলে তাণ্ডব চালানো হয়। হামলাকারীরা পাইপ বেয়ে পেরিয়ার হস্টেলের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। যদিও RSS এর ছাত্র সংগঠনের দাবি, বামপন্থীদের নাগরিক আন্দোলন গতি হারানোতেই শিরোনামে আসতে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। 

 

.