'দিল্লি চলো'য় বাধা কৃষকদের, হরিয়ানায় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার পুলিসের
এই অবস্থায় ৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় আলোচনার বসার জন্য কেন্দ্রের তরফে আহ্বান জানানো হয়েছে কৃষকদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। লং মার্চে অংশ নিয়েছেন ৬টি রাজ্যের হাজারে হাজারে কৃষক। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, কেরল, পাঞ্জাব থেকে কৃষকরা পায়ে হেঁটে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সারা ভারত কিষাণ ইউনিয়নের দাবি, সংখ্যাটা ২ লাখে পৌঁছাবে। নয়া কৃষি আইন প্রত্য়াহার না করা পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। কৃষকদের অভিযোগ, নয়া এই কৃষি আইনের ফলে তাঁরা লোকসানের মুখোমুখি হবেন। অন্যদিকে মুনাফা লুটবে রিটেইল সংস্থাগুলি।
এই অবস্থায় ৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় আলোচনার বসার জন্য কেন্দ্রের তরফে আহ্বান জানানো হয়েছে কৃষকদের। অন্যদিকে, এদিন পাঞ্জাব থেকে আগত কৃষকদের মিছিলকে হরিয়ানায় ঢুকতে বাধা দেয় সেরাজ্য়ের বিজেপি সরকার। হরিয়ানায় ঢোকার আগে একটি ব্রিজে আটকানো হয় কৃষকদের। হরিয়ানা পুলিস ব্রিজের উপর একটি ট্রাককে দাঁড় করিয়ে রাখে। ব্রিজ পার হতে গেলে যে ট্রাকটি কৃষকদের সরাতেই হবে। পাশাপাশি, ব্রিজের উপর সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল কাতারে কাতারে পুলিস।
Ambala: Farmers headed to Delhi to stage protest attempt to break through police barricades at Sadopur border, water cannons used by security personnel to disperse crowds.#Punjab pic.twitter.com/90lbcgKEDv
— ANI (@ANI) November 26, 2020
কৃষকদের পদযাত্রা ব্রিজের উপর পৌঁছতেই মুখোমুখি হয় দুপক্ষ। পুলিস মিছিলকে এগোতে বাধা দেয়। পুলিসি প্রতিরোধের মুখে পড়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন কৃষকরা। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা সংঘর্ষের পর ব্যারিকেড হঠিয়ে সামনে এগোতে সক্ষম হন কৃষকরা। হরিয়ানা ঢোকে কৃষকদের মিছিল। এদিন সংঘর্ষের সময় লোহার ব্যারিকেড তুলে নদীতে ফেলতে দেখা যায় কৃষকদের। অন্যদিকে, কৃষকদের উপর পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, জসকামান দাগে পুলিস। সবমিলিয়ে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
আরও পড়ুন- 'অপরাধীদের আড়াল' করছেন রাজ্যপাল! রাষ্ট্রপতির কাছে ধনখড়কে অপসারণের দাবি তৃণমূলের