দিল্লির নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার কথা অস্বীকার বাবার

দিল্লির নির্যাতিতা তরুণীর বাবা জানালেন তিনি মোটেও এখনই তাঁর মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আনার কথা বলেননি। যে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে তরুণীর বাবা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তারা দাবি করেছিল তিনি চান তাঁর মেয়ের নাম যেন সর্বসমক্ষে আসে। কিন্তু রবিবার সন্ধেতেই আবার একটি ভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে তিনি এ কথা অস্বীকার করেন। ওই ইংরেজি দৈনিকটি অনুযায়ী মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন মেয়েটির পরিচিতি জনসমক্ষে আনতে তিনি ও তাঁর পরিবার শুধুমাত্র তখনই রাজি হবেন যখন তাঁর মেয়ের নামে নারীসুরক্ষার জন্য একটি নতুন আইন তৈরি করা হবে।

Updated By: Jan 7, 2013, 09:09 AM IST

দিল্লির নির্যাতিতা তরুণীর বাবা জানালেন তিনি মোটেও এখনই তাঁর মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আনার কথা বলেননি। যে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে তরুণীর বাবা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তারা দাবি করেছিল তিনি চান তাঁর মেয়ের নাম যেন সর্বসমক্ষে আসে। কিন্তু রবিবার সন্ধেতেই আবার একটি ভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে তিনি এ কথা অস্বীকার করেন। ওই ইংরেজি দৈনিকটি অনুযায়ী মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন মেয়েটির পরিচিতি জনসমক্ষে আনতে তিনি ও তাঁর পরিবার শুধুমাত্র তখনই রাজি হবেন যখন তাঁর মেয়ের নামে নারীসুরক্ষার জন্য একটি নতুন আইন তৈরি করা হবে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটিতে প্রকাশিত মেয়েটির বাবার সাক্ষাৎকার অনুযায়ী তিনি বলেছিলেন ``আমার মেয়ে কোন অন্যায় করেনি। আমরা চাই সারা বিশ্ব ওর নাম জানুক। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গর্বিত``। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া গ্রামে মেয়েটির পৈতৃক গ্রামে গিয়ে ট্যাবলয়েডের প্রতিনিধি তরুণীর বাবার সাক্ষাৎকার নেন। ওই সাক্ষাৎকারের সঙ্গেই মেয়েটির বাবা ও তার দুই ভাইয়ের নামও প্রকাশিত হয়।
ট্যাবলয়েডটি মেয়েটির বাবাকে উদ্ধৃত করে প্রকাশ করে ``আমার মেয়ের নাম প্রকাশ্যে এলে তার থেকে সে সব মহিলারা অনুপ্রাণিত হবেন যাঁরা এই ধরনের আক্রমণকে জয় করে এগিয়ে এসেছেন।``
কিন্তু রবিবার সন্ধেতেই আবার ভারতীয় ইংরেজি দৈনিকটিতে তরুণীর বাবা জানিয়েছেন ``আমি তখনই আমার মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আনার অনুমতি দেব যখন সরকার মেয়েদের সুরক্ষার জন্য আমার মেয়ের নামে আরও শক্তিশালী কোন আইন প্রণয়ন করবে। একজন নির্যাতিতা হিসাবে আমার মেয়ের নাম সবাই জানুক আমি চাই না। বরং চাই সমাজ পরিবর্তনকারী হিসাবে তাকে সবাই মনে রাখুক।``
দিল্লির চলন্ত বাসে ১৬ ডিসেম্বর ছয় জন বিকৃতকাম ধর্ষকের পৈশাচিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিল ২৩ বছরের ফিজিওথেরাপির ছাত্রী। জীবনের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধের পর ২৯ ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত মারা যায় মেয়েটি। মেয়েটির বাবা ইংরেজি ট্যাবলয়েডটিতে জানিয়েছেন তার মেয়ের উপর অত্যাচারের পর সারা দেশ যে ভাবে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে তার থেকে তাঁরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ওই ছয় অপরাধীর জন্য তাঁরা শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ড চান।

.