সরকারী কর্মচারীরা কী তবে বর্ধিত বেতনের ৫০ শতাংশই হাতে পাবেন?
কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মাচারিদেরকে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলোতে আরও বেশি পরিমান অর্থ সঞ্চয়ে উত্সাহিত করার উপর জোর দিচ্ছে। সেইজন্য সেকশন অফিসার থেকে আর উচ্চপদস্থ কর্মাচারীদের বেতন সপ্তম পে কমিশনের পর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়ের জন্য কর্মচারীদের তাঁরা উত্সাহ দিতে চাইছে।
ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মাচারিদেরকে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলোতে আরও বেশি পরিমান অর্থ সঞ্চয়ে উত্সাহিত করার উপর জোর দিচ্ছে। সেইজন্য সেকশন অফিসার থেকে আর উচ্চপদস্থ কর্মাচারীদের বেতন সপ্তম পে কমিশনের পর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়ের জন্য কর্মচারীদের তাঁরা উত্সাহ দিতে চাইছে।
এই বিষয়ে যে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের বর্ধিত বেতনের ৫০ শতাংশ টাকা তাঁরা যেন সরকারি বন্ড কেনেন। এক্ষেত্রে কর্মচারীরা অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন ইনসেনটিভের ক্ষেত্রে এবং কর ছাড়ের বিষয়ে। অর্থাত্ সেক্ষেত্রে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মাচারীরা তাঁদের বর্ধিত বেতনের ৫০ শতাংশ টাকাই হাতে পাবেন।
অর্থমন্ত্রকের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা গত সপ্তাহে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। যদিও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আসলে এই বিষয়ক কিমিটি গোটা প্রস্তাবটি আরও খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে চায়। হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলোতে ২০১৫-র ডিসেম্বর পর্যন্ত নন পারফর্মিং অ্যাসেট ছিল ৩.৬১ ট্রিলিয়ন। সেখানে প্রাইভেট সেক্টরের পরিমাণ ছিল ৩৯.৮৫৯ কোটি টাকা। সেই সূত্র ধরেই দেখা যাচ্ছে যে, গ্রস NPA অনুপাত শতাংশের হিসেবে প্রাইভেট ব্যাঙ্কগুলোতে ৭.৩০ শতাংশ। সেখানে পাবলিক সেক্টরে মাত্র ২.৩৬ শতাংশ। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পাবলিক সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলোকে পরবর্তী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ব্যালান্স সিট তৈরি করে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।