'নতুন ভোর', বিক্রম এস-এর উৎক্ষেপণের পরে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ছয় মিটার লম্বা রকেটটি বিশ্বের প্রথম কয়েকটি অল-কম্পোজিট রকেটের মধ্যে একটি যার স্পিন স্থিতিশীলতার জন্য 3D-প্রিন্ট করা কঠিন থ্রাস্টার রয়েছে। Skyroot Aerospace জানিয়েছে রকেট উৎক্ষেপণটি বিক্রম সিরিজের অরবিটাল ক্লাস স্পেস লঞ্চ যানের বেশিরভাগ প্রযুক্তি পরীক্ষা এবং যাচাই করতে সাহায্য করবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিক্রম-এস, ভারতের প্রথম প্রাইভেটভাবে তৈরি রকেট। এই রকেট শুক্রবার শ্রীহরিকোটার মহাকাশ বন্দর থেকে সফলভাবে উত্তোলন করা হয়েছে। এতদিন ধরে ভারতের মহাকাশ শিল্পে একাধিপত্য বজায় রেখেছে ইসরো। এরপরে এই মহাকাশ শিল্পে বেসরকারী যাত্রার সূচনা চিহ্নিত করেছে এই পদক্ষেপ। স্কাইরুট অ্যারোস্পেস, হায়দ্রাবাদে অবস্থিত একটি চার বছর বয়সী স্টার্টআপ তৈরি করেছে এই রকেটটি। ISRO এবং IN-SPACe (ভারতীয় জাতীয় মহাকাশ প্রচার ও অনুমোদন কেন্দ্র) এর সহায়তায় উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এই রকেট।
এই উৎক্ষেপণের সময় শ্রীহরিকোটায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, ‘অভিনন্দন ভারত! এটি একটি নতুন ভোরের সূচনা। স্কাইরুটের সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নকে জীবন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২৫ বছরের জন্য ভারতের অগ্রগতি শুরু হয়েছে’।
রকেটটি অন্ধ্র প্রদেশের এন স্পেস টেক ইন্ডিয়া, চেন্নাই ভিত্তিক স্টার্টআপ স্পেস কিডস এবং আর্মেনিয়ান BazoomQ স্পেস রিসার্চ ল্যাবের তৈরি তিনটি পেলোড বহন করে।
বিক্রম-এস তার উৎক্ষেপণের পরে ৮৯.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল এবং সমস্ত প্যারামিটার পূরণ করেছে। স্কাইরুট অ্যারোস্পেস ফ্লাইটের একটি ইউটিউব লিঙ্ক সংযুক্ত করে এই কথা জানিয়েছে।
স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. পবন কুমার চন্দনা বলেন, ‘আমরা আজ ভারতের প্রথম প্রাইভেট রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছি। এটি নতুন ভারতের প্রতীক, এবং একটি মহান ভবিষ্যতের শুরু’।
দুই বছরের রেকর্ড সময়ের মধ্যে একটি ২০০ জন ইঞ্জিনিয়ারের দল তৈরি করেছে Vikram-S রকেট। এই রকেটটি সলিড ফুয়েল্ড প্রপালশন, অত্যাধুনিক এভিওনিক্স এবং একটি কার্বন ফাইবার কোর কাঠামো দ্বারা চালিত।
আরও পড়ুন: ৪টে জুড়ে একটা! এয়ার ইন্ডিয়া-ভিস্তারাকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা টাটার
Skyroot Aerospace জানিয়েছে রকেট উৎক্ষেপণটি বিক্রম সিরিজের অরবিটাল ক্লাস স্পেস লঞ্চ যানের বেশিরভাগ প্রযুক্তি পরীক্ষা এবং যাচাই করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এর মধ্যে অনেক উপ-সিস্টেম এবং প্রযুক্তি রয়েছে যা উৎক্ষেপণের আগে এবং পরবর্তী পর্যায়ে পরীক্ষা করা হবে।
ছয় মিটার লম্বা রকেটটি বিশ্বের প্রথম কয়েকটি অল-কম্পোজিট রকেটের মধ্যে একটি যার স্পিন স্থিতিশীলতার জন্য 3D-প্রিন্ট করা কঠিন থ্রাস্টার রয়েছে।
৫৪৫ কেজি ওজনের, ছয় মিটার দৈর্ঘ্য এবং ০.৩৭৫ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট বিক্রম-এস তার বিভাগে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের রকেটগুলির মধ্যে একটি।
ইন-স্পেসের চেয়ারম্যান ডাঃ পবন গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন অন্তত ১৫০ স্টার্ট-আপ মহাকাশ খাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৫০টি স্টার্ট-আপ মহাকাশে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র পাঠিয়েছে। এই পর্যন্ত আমরা পাঁচজনকে অনুমোদন দিয়েছি’।