শুরু হল বিদেশসচিব স্তরের বৈঠক, উঠবে হামজা প্রসঙ্গও
আবু হামজা সম্পর্কিত কোনও বিস্তারিত তথ্য তালিকা বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানকে দেবে না ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে আজ একথা জানানো হয়েছে। মুম্বই হামলায় জড়িত সন্দেহে ধৃত জঙ্গি আবু হামজাকে জেরা করে গোয়েন্দারা হামলায় করাচি যোগের যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন, তা নিয়ে আটঘাট বেঁধেই এগোতে চাইছে দিল্লি।
আবু হামজা সম্পর্কিত কোনও বিস্তারিত তথ্য তালিকা বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানকে দেবে না ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে আজ একথা জানানো হয়েছে। মুম্বই হামলায় জড়িত সন্দেহে ধৃত জঙ্গি আবু হামজাকে জেরা করে গোয়েন্দারা হামলায় করাচি যোগের যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন, তা নিয়ে আটঘাট বেঁধেই এগোতে চাইছে দিল্লি। তাই আরও সুসংহত এবং জোরালো তথ্য-তালিকা তৈরিতে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। কয়েকদিনের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানকে আরও ৪০ জনের নাম দেবে বলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
আবু হামজা আর সরবজিত বিতর্কের মধ্যে আজই দিল্লিতে শুরু হয়েছএ ভারত-পাক বিদেশসচিব পর্যায়ের আলোচনা। পাকিস্তানের বিদেশসচিব জলিল আব্বাস জিলানির সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ভারতের বিদেশসচিব রঞ্জন মাথাই। তবে তদন্তের স্বার্থে আবু জুন্দাল সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত তথ্য না দিলেও ধৃত লস্কর নেতার পাক পাসপোর্ট এবং পরিচয়পত্রের ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভারত সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বস্তুত, গত মাসে সৌদি আরব থেকে আবু জুন্দালের প্রত্যর্পণের পর, সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে নতুন মাত্রা পায় ভারত-পাক টানাপোড়েন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুম্বইয়ের হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ ও করাচির কন্ট্রোল রুম থেকে হামলা পরিচালনার কথা স্বীকার করে আবু জুন্দাল। জুন্দালকে ঘিরে শুরু হয় দিল্লি-ইসলামাবাদ বাকযুদ্ধ। মুম্বই হামলায় পাক রাষ্ট্রীয় মদতের অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। পাকিস্তানের পাল্টা দাবি আবু জুন্দাল ভারতের নাগরিক।
জুন্দালের ভারতীয় নাগরিকত্ব স্বীকার করলেও দিল্লির দাবি, পাকিস্তানি পরিচয়েই সৌদিতে গিয়েছিল জুন্দাল। পাক পাসপোর্টে তার নাম রিয়াসত আলি। বৈঠক চলাকালীন পাক বিদেশ সচিব জলিল আব্বাস জিলানির হাতে জুন্দালের পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্রের কপি তুলে দিতে পারে নয়াদিল্লি। পাক পাসপোর্টে জুন্দালের লাহোরের কাছে মুরিদকে শহরের যে ঠিকানা দেখানো হয়েছে, তার কথাও জানতে চাইবে দিল্লি। জানতে চাওয়া হবে পাকিস্তানের জুন্দালের পরিচিতদের কথা। মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে জুন্দালের জেরা করে জানতে পারা মেজর সামির, মেজর ইকবালদের মতো আইএসআই অফিসারদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। চাওয়া হবে সেই অফিসারদের কণ্ঠস্বরের নমুনাও। এবং অবশ্যই করাচির কন্ট্রোল রুমের ঠিকানা নিয়ে পাকিস্তানকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলবে ভারত।
মুম্বই হামলার পাশাপাশি আজ থেকে শুরু হওয়া দু'দিনের বিদেশসচিব স্তরের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে সিয়াচেন, স্যর ক্রিক, ভিসা ব্যবস্থার সরলীকরণের মতো একাধিক ইস্যু। অন্যদিকে ২৬/১১ হামলা নিয়ে চাপ কাটাতে পুরনো কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে আনতে পারে পাকিস্তান। গতকাল ভারতে পৌঁছনোর পরেই কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন পাক বিদেশসচিব জলিল আব্বাস জিলানি।