জলে ভাসল নতুন রণতরী বিক্রান্ত
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের। আজ কোচি শিপইয়ার্ডে জাহাজটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির স্ত্রী এলিজাবেথ। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী জাহাজ রয়েছে মাত্র কয়েকটি দেশের কাছে। এবার সেই তালিকায় চলে এল ভারতও।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের। আজ কোচি শিপইয়ার্ডে জাহাজটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির স্ত্রী এলিজাবেথ। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী জাহাজ রয়েছে মাত্র কয়েকটি দেশের কাছে। এবার সেই তালিকায় চলে এল ভারতও।
মহাসমুদ্রে রণতরী থেকেই লক্ষ্যে আঘাত হানতে উড়ে যাবে যুদ্ধ বিমান। এবার সেই রণতরীই তৈরি হল সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুকুটে নতুন পালক আইএনএস বিক্রান্ত। কোচি শিপ ইয়ার্ড থেকে সোমবারই প্রথমবার জলে নামে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। বিক্রান্তকে সবুজ পতাকা দেখান প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির স্ত্রী এলিজাবেথ।
বিশ্বে হাতে গোণা কয়েকটি দেশের কাছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এরকম এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। এবার সেই এলিট ক্লাবের সদস্য হল ভারতও। এই ঘটনাকে তাই দেশের বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
৩৭ হাজার ৫০০ টনের রণতরী তৈরি করতে সময় লেগেছে সাড়ে চার বছর। জাহাজটি লম্বায় ২৬০ মিটার, চওড়ায় ৬০ মিটার। নৈবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে আইনএস বিক্রান্তের মতো আরও এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরি জরুরি বলে মনে করেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীও।
আইএনএস ভিক্রান্ত থেকে প্রয়োজনে মিগ ২৯, লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট ও কামোভ থার্টিওয়ানের মতো যুদ্ধবিমান উড়তে পারবে। তবে উদ্বোধন হলেও আইনএস বিক্রান্তকে এখনই নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। দুহাজার ষোলো সাল পর্যন্ত জাহাজটির বহন ও সহনক্ষমতা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব পরীক্ষানিরীক্ষার পর জাহাজটিকে ২০১৮তে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।