“জড়, অবাস্তব দল কংগ্রেস, নতুনত্বের জায়গা নেই” এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য
জ্যোতিরাদিত্য বিজেপি পরিবারেরই সদস্য বলে জানান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এ দিন তিনি মনে করিয়ে দেন, জ্যোতিরাদিত্যের পূর্বসুরীদের বিজেপি তথা জনসঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুটো তারিখ। তাঁর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০১। এই দিন তিনি তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়াকে হারিয়ে ছিলেন। অন্যটি ১০ মার্চ ২০২০। তাঁর বাবার জন্মদিনে জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটি নিলেন। এই দুই তারিখ তাঁর জীবনকে আমূল বদলে দিয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ বিজেপির সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান দিয়ে এইভাবেই ভাবুক হয়ে উঠলেন ৪৯ বছর বয়সী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
জ্যোতিরাদিত্য বিজেপি পরিবারেরই সদস্য বলে জানান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি মনে করিয়ে দেন, জ্যোতিরাদিত্যের পূর্বসুরীরা বিজেপি তথা জনসঙ্ঘে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্যের ঠাকুমা রাজমাতা বিজয়ারাজে সিন্ধিয়াও এমনই কংগ্রেস ছেড়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তাঁর ছেলে মাধবরাও সিন্ধিয়া আবার উল্টো পথে হাঁটেন। ৯ বারের সাংসদ মাধবরাও কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হয়ে ওঠেন। কংগ্রেসের সেই মহলে গত ১৮ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্যও। কিন্তু আজ এই পরিবেশ জ্যোতিরাদিত্যের কাছে ক্রমশ কন্টকময় হয়ে উঠেছে বলে এদিন জানান।
আরও পড়ুন- বিজেপিতে না, মধ্যপ্রদেশের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে 'মতভেদ' জ্যোতিরাদিত্যর!
কংগ্রেস ছাড়ার কারণ খুব স্পষ্টভাবে জানালেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস আগের মতো আর নেই।” কেন, তার ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি। বলেন, বরাবরই বাস্তবকে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। জড়তাকে আঁকড়ে ধরে চলা, নতুন ভাবনা এবং তরুণ নেতৃত্বকে মান্যতা না দেওয়ার অভিযোগ আনেন জ্যোতিরাদিত্য। নাম না করে কমল নাথের কংগ্রেসের উপর কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। বলেন, ২০১৮ সালে যে স্বপ্ন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসি, মাত্র ১৮ মাসেই ভেঙে গিয়েছে সেই স্বপ্ন। কৃষকদের ১০ দিনে মধ্যে ঋণ মুকুব করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আজ তা পূরণ হয়নি। কৃষকদের উপর হওয়া মামলা এখনও তোলা হয়নি। তরুণদের রোজগারের ব্যবস্থা তো দূর, বেকার-বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে না। কমলনাথের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এবার জ্যোতিরাদিত্যের মুখে উঠে এল, মধ্য প্রদেশে মাফিয়া পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
দলে যোগ দিয়েই জ্যোতিরাদিত্যের মুখে মোদী সরকার নিয়ে উচ্চকিত প্রশংসা শোনা গেল। জ্যোতিরাদিত্য বলেন, “দেশের ইতিহাসে এই প্রথম এত বড় জনাদেশ পেয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। ভারতের ভবিষ্যত নরেন্দ্র মোদীর হাতে সুরক্ষিত।”