শ্রমিক-কর্তৃপক্ষ সংঘাত বাড়ছে শিল্পক্ষেত্রে

হরিয়ানার মানেসরে মারুতি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভে জেনারেল ম্যানেজারের মৃত্যুই প্রথম নয়। গত ৩ বছর ধরে শ্রমিক-কর্তৃপক্ষের সংঘাতে অনেকবারই দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বেশ বিভিন্ন সংস্থার বেশ কয়েকজন  আধিকারিকের। বিশেষ করে দেশের অটোমোবাইল শিল্পে বার বারই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা।

Updated By: Jul 20, 2012, 11:35 AM IST

হরিয়ানার মানেসরে মারুতি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভে জেনারেল ম্যানেজারের মৃত্যুই প্রথম নয়। গত ৩ বছর ধরে শ্রমিক-কর্তৃপক্ষের সংঘাতে অনেকবারই দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বেশ বিভিন্ন সংস্থার বেশ কয়েকজন  আধিকারিকের। বিশেষ করে দেশের অটোমোবাইল শিল্পে বার বারই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
গত বুধবার শ্রমিক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হিংসায় মানেসরের মারুতি কারখানায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় কারখানার জেনারেল ম্যানেজার(এইচআর) অবনীশ কুমার দেবের। আহত হন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা। এর আগেও শ্রমিক বিক্ষোভে সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার।
 
২০০৮-এর ২২ সেপ্টেম্বর। গ্রেটার নয়ডার গাড়ি তৈরির সংস্থা গ্রাজিয়ানোর শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকজন শ্রমিককে ছাঁটাই ঘিরে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় সংস্থার প্রধান ললিত চৌধুরীর। ২০০৯-এর ২১ সেপ্টেম্বর। কোয়েম্বাটুরের প্রিকোল সংস্থায় মজুরি এবং অন্যান্য সুবিধে না পাওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন ঠিকা শ্রমিকেরা। সেসময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট রয় জে জর্জের।

এ বছর ২৬ জানুয়ারি ইয়ানামের রিজেন্সি সেরামিক্সে বিক্ষোভের সময় পুলিসের লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা এম মুরলি মোহনের। এরপরই ক্ষিপ্ত শ্রমিকদের হাতে নিহত হন ওই সংস্থার প্রধান টি চন্দ্রশেখর। এরপরই ১৮ জুলাই হরিয়ানার মানেসরে মারুতি কারখানার ঘটনা। শ্রমিক অসন্তোষের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দেশের অটোমোবাইল শিল্পে। বারবারই শ্রমিক-কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কারখানায়।
 
দেশজুড়ে শ্রমিক-কর্তৃপক্ষের মধ্যে এধরণের সংঘাতের ঘটনা বেড়ে চললেও বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র ২০১০-এর জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ২৬৫টি ইউনিটে ধর্মঘট হয়েছে। গত তিনবছরে লকআউট হয়েছে ১৮২টি কারখানায়। যার ফলে গত ৩ বছরে ১,৪৭,০০,০০০ শ্রমদিবস নষ্ট হয়েছে।

.