ললিত যোগে রাজেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে প্রকাশ্য কোন্দলে রাজস্থান বিজেপি
বসুন্ধরা রাজেকে নিয়ে এ বার রাজস্থানের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল। ললিত মোদী-কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে বসুন্ধরার ইস্তফা দাবি করেছে বিরোধীরা। সুষমা স্বরাজের পাশে থাকলেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে নেই তা গতকালই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, বসুন্ধরাকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে হবে। বসুন্ধরা দেখা করতে চাইলেও তাঁকে সময় দেননি অমিত শাহ।
ব্যুরো: বসুন্ধরা রাজেকে নিয়ে এ বার রাজস্থানের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল। ললিত মোদী-কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে বসুন্ধরার ইস্তফা দাবি করেছে বিরোধীরা। সুষমা স্বরাজের পাশে থাকলেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে নেই তা গতকালই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, বসুন্ধরাকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে হবে। বসুন্ধরা দেখা করতে চাইলেও তাঁকে সময় দেননি অমিত শাহ।
এই পরিস্থিতিতে আজ নিজের অনুগামীদের দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করিয়ে অশোক রোডকে বার্তা দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। জয়পুরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র রাঠোর বললেন, বসুন্ধরার ইস্তফার প্রশ্ন নেই। বিজেপি বিধায়করা সকলেই তাঁর সঙ্গে আছেন।
দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার পর এবার ললিত মোদীকে সমন পাঠাল ইডি। গতকালই বসুন্ধরা রাজে এবং ললিত মোদী যোগে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছিল। বসুন্ধরা রাজের ছেলে দুষ্মন্ত সিংয়ের কোম্পানিতে এগারো কোটি তেষট্টি লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ললিত মোদী। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মরিশাসের একটি কোম্পানি উইলটন ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছ থেকে একুশ কোটি টাকা জমা পড়ে মোদীর আনন্দ হেরিটেজ হোটেলস কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। সেই টাকারই একটি অংশ দুষ্মন্ত সিংয়ের নিয়ন্ত হেরিটেজ হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেডকে ঋণ এবং শেয়ার কেনার জন্য দেওয়া হয় বলে খবর। এর মধ্যে তিন কোটি আশি লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ঋণ হিসাবে। আর এগারো কোটি তেষট্টি লক্ষ টাকা দুষ্মন্তের কোম্পানির আটশো পনেরোটি শেয়ার কেনার জন্য দেন ললিত মোদী। এই লেনদেনের সময় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসুন্ধরা । দুষ্মন্ত সিং এবং ললিত মোদীর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী পুনম ভান্ডারি।