বিচ্ছেদের বছর কুড়ি পর ফের এক মঞ্চে লালু-নীতীশ
বিচ্ছেদের বছর কুড়ি পর ফের এক মঞ্চে দেখা মিলল লালু-নীতীশের। সোমবার হাজিপুরে বিহারের আসন্ন উপ-নির্বাচনের প্রচারে মঞ্চ ভাগ করে নিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ও জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) নেতা নীতীশ কুমার।
পাটনা: বিচ্ছেদের বছর কুড়ি পর ফের এক মঞ্চে দেখা মিলল লালু-নীতীশের। সোমবার হাজিপুরে বিহারের আসন্ন উপ-নির্বাচনের প্রচারে মঞ্চ ভাগ করে নিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ও জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) নেতা নীতীশ কুমার।
সব বিতর্কের অবসান। বিহারের দুই মহারথী সত্যিই রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে এক সঙ্গে প্রচারে নামবেন কিনা তা নিয়ে সপ্তাহভর জল্পনা-কল্পনা চলেছে। আজ সব জল্পনাতেই দাড়ি বসালেন লালু-নীতীশ।
আজ নীতীশ-লালু হাজিপুর ও মোহাদি নগরে যৌথ সভা করেন। আগামী সপ্তাহেও একই সঙ্গে প্রচারকার্য চালাবেন তাঁরা। যদিও লালু-নীতীশের যৌথ সভাও লোক টানতে ব্যর্থ হল।
২০০৫ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লালুর আরজেডিকে গদিচ্যুত করে বিহারে সরকার তৈরি করেছিলেন নীতীশ কুমার।
আগামী ২১ অগাস্ট বিহারে উপনির্বাচনের জন্য জোট বেঁধেছে কংগ্রস, আরজেডি ও জেডিইউ। নীতীশ ও লালুর দল চারটি আসনে ও কংগ্রেস দুটি আসনে প্রতীদ্বন্ধীতা করবে।
আসছে বছরের বিধানসভা নির্বাচন যদি ফাইনাল হয় তাহলে এই উপনির্বাচন যথার্থ অর্থেই সেমিফাইনাল।
'৭০-এর দশকে জনতা দলের উঠতি নেতা লালু-নীতীশ পরবর্তী সময়ে নিজেদের অন্য রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। লোকসভা নির্বাচনে বিহার জুড়ে বিজেপির অভাবনীয় ফলাফল শেষপর্যন্ত কাছাকাছি নিয়ে এল লালু-নীতীশকে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ক্ষমতাসীন জেডিইউ মাত্র ৭টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, জেডিইউ-এর একদা জোটসঙ্গী বিজেপি ৪০টির মধ্যে ৩১টি আসনই ছিনিয়ে নিয়েছে। বিধানসভাতেও যাতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্যই কোমর বেঁধে নেমেছেন নীতীশ। তাই একদা শত্রু লালু প্রসাদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন জোটের হাত। লালুও নিজের প্রায় হারিয়ে যাওয়া অস্তিত্ব আবার ফিরে পেতে নীতীশের আহ্বানে সাড়া দিতে সময় নেননি।