পল্লবী পুরকায়স্থ হত্যাকাণ্ডে অপরাধীকে ফাঁসীর সাজা শোনাল আদালত
আইনজীবী পল্লবী পুরকায়স্থ হত্যা মামলায় অপরাধী সিকিউরিটি গার্ড সজ্জদ আহমেদ মোঘলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। গত সপ্তাহে শুনানির সময় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান সরকার পক্ষের বিশেষ আইনজীবী উজ্জ্বল নিকাম।
আইনজীবী পল্লবী পুরকায়স্থ হত্যা মামলায় অপরাধী সিকিউরিটি গার্ড সজ্জদ আহমেদ মোঘলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। গত সপ্তাহে শুনানির সময় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান সরকার পক্ষের বিশেষ আইনজীবী উজ্জ্বল নিকাম।
নিকাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "অত্যন্ত পৈশাচিক ভাবে খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। সজ্জদ পল্লবীর ট্রাকিয়া কেটে দেয় যাতে পল্লবীকে চিত্কার করতে না পারেন। ময়নাতদন্তে পল্লবীর শরীরে ১৬টি শুরুতর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। বিরলের মধ্যেও বিরলতম এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।"
গত ৯ অক্টোবর, ২০১২ সজ্জদ প্রথমে পল্লবীর ফ্ল্যাটের চাবি চুরি করে। পরে সুযোগ বুঝে পল্লবীর ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পল্লবী বাধা দিতে চাইলে সজ্জদ ক্রমাগত তাঁকে আঘাত করতে থাকে। অবশেষে গলার নলি কেটে খুন করে পল্লবীকে। পাশের ফ্ল্যাটের ডোরবেল ও পল্লবীর ফ্ল্যাটের সামনে রক্তের দাগ থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে পল্লবী বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে পল্লবীর মা সুমিতা পুরকায়স্থ বলেন, "আমাদের মেয়ে এইভাবে মারা গিয়েছে। ও আমাদের সবকিছু ছিল। মৃত্যুদণ্ডের থেকে কম কিছু ওর প্রাপ্য নয়।"
সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের ওয়াডালায় হিমালয়ান হাইটস অ্যাপার্টমেন্টের ১৭ তলায় বন্ধু অভীক সেনগুপ্তর সঙ্গে থাকতেন ১৫ বছরের আইনজীবী পল্লবী পুরকায়স্থ। ঘটনার দিন রাতে সজ্জদ ক্রমাগত পল্লবীর ফ্ল্যাটের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে থাকে। পল্লবী সাহায্য চাইলে ইলেকট্রিশিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে চাবি চুরি করে সজ্জদ। পরে পল্লবী ঘুমিয়ে পড়লে চাবি দিয়ে দরজা খুলে ফ্ল্যাটে ঢোকে সজ্জদ। রক্তের পুকুরে পল্লবীর ক্ষতবিক্ষত দেহ আবিষ্কার করেন অভীক। এই ঘটনার পর থেকেই ট্রমায় ভুগতে থাকেন অভীক। অবশেষে গত নভেম্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। পল্লবীর বাবা অতনু পরকায়স্থ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "সজ্জদ দুটো পরিবারকে নষ্ট করেছে। ওর মৃত্যু হলে দপটো পরিবার শান্তি পাবে।"