পরীক্ষায় সফল ভারতীয় প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম
ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারটি পরিকল্পনা ও তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার দিয়ে আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরীক্ষায় সফল হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (HAL)। ক্ষেপণাস্ত্রের পরিকল্পনা ও নির্মাণ করেছে ভারতীয় সংস্থাটিই। আকাশে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে হ্যালের ক্ষেপণাস্ত্র।
হ্যাল প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওডিশার চান্দিপুরে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে। টেস্ট পাইলট উইং কমান্ডার সুভাষ পি জন (অবসরপ্রাপ্ত), হ্যালের টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার কর্ণেল রঞ্জিন চিতালে (অবসরপ্রাপ্ত) এবং ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাজীব দুবে সফলভাবে লক্ষ্য ছুঁতে পেরেছেন। আকাশপথে চলন্ত লক্ষ্যে সরাসরি আঘাত হেনে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
The public sector entity Hindustan Aeronautics Limited (HAL) designed and developed light combat helicopter (LCH) has successfully carried out air-to-air missile firing on a moving aerial target.
Read @ANI story | https://t.co/T8GgXhGIoE pic.twitter.com/RKbD79elZN
— ANI Digital (@ani_digital) January 17, 2019
লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারে ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও রয়েছে ২০ এমএমের টুরেট বন্দুক ও ৭০ এমএমের রকেট। ২০১৮ সালেই হাতিয়ারগুলি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এটাই বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী হেলিকপ্টার, যা সিয়াচেনের মতো উচ্চতাতেও কাজ করতে সক্ষম।
ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারটি পরিকল্পনা ও তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের রোটারি উইং রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন সেন্টার। এএনআই জানিয়েছে, হ্যালের লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার এই শ্রেণির কপ্টারের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আর্থিক সংকটে ভুগছে হ্যাল। ধার করে কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে। সাম্প্রতিক রাফাল বিতর্কে এই সংস্থাকে টেনে এনেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সভাপতি প্রশ্ন তোলেন, রাফালের চুক্তিতে কেন অফসেট (যন্ত্রাংশ সরবরাহ) বরাত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে না দিয়ে রিলায়্যান্স ডিফেন্সকে দেওয়া হল? নরেন্দ্র মোদী নিজের বন্ধু অনিল অম্বানিকে দেনার দায় থেকে বাঁচাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল। পাল্টা নির্মলা সীতারমন জানান, ৩০,০০০ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছে হ্যালকে। আরও ৭০ হাজার কোটি টাকার বরাত দেওয়া হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- ট্রেনে আচমকাই পিরিয়ড মহিলার, বন্ধুর টুইট দেখে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাঠাল রেল
হ্যাল টুইটে জানায়, ৯৬২ কোটি টাকার দেনা রয়েছে হ্যালের। ৮৩টি লাইট কমব্যাট যুদ্ধবিমান ও ১৫টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বরাত এসে গেলে ঘুরে দাঁড়াবে সংস্থা। বরাতটি এখনও প্রাথমিক স্তরেই রয়েছে।