সাবধান! প্রতিবেশী ২ রাজ্যের দোরগোড়ায় রাক্ষুসে পঙ্গপালের ঝাঁক, জারি কড়া সতর্কতা
পঙ্গপালের হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার। জানানো হয়েছে রাক্ষুসে ওই পতঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে পশ্চিম ওড়িশার সুন্দরগড়, বারঘর, কালাহান্ডি ও বোগানগির জেলায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ঘুরে পঙ্গপালের এবার ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার কাছাকাছি এসে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তা ঢুকে পড়েছে ছত্তীসগড়ে। ভয়ঙ্কর এই হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে সতর্কবার্তা জারি করেছে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সরকার। তবে নবীন পট্টনায়কের সরকারের তরফে বলা হয়েছে সাবধানে থাকুন, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন-চরবৃত্তি করতে গিয়ে দিল্লিতে ধৃত পাক হাই কমিশনের ২ অফিসার
ঝাড়খণ্ডের কৃষি সচিব আবু বকর সিদ্দিকি জানিয়েছেন, ছত্তীসগড়, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ লাগোয়া অঞ্চলে রাজ্যের ২৪ জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সবথেকে বেশি হামলা হতে পারে, ঘরওয়া, লাতেহার, গুমালা, দেওঘর, ছতরা, গিরিডি ও গোদা জেলায়।
ঘরওয়া জেলার কৃষি আধিকারিক লক্ষ্ণণ ওঁরাও জানিয়েছেন ছত্তীসগড়ে পঙ্গপাল ঢুকেছে। দিনে ওরা ২০০ কিমির বেশি যেতে পারে না। তাই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে পঙ্গপালের একটি দলে ১.৫ কোটি থেকে ২ কোটি পতঙ্গ থাকতে পারে। এরা ৩৫০০০ মানুষের সারা বছরের খাবার খেয়ে ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, রবিবারই পঙ্গপালের হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার। জানানো হয়েছে রাক্ষুসে ওই পতঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে পশ্চিম ওড়িশার সুন্দরগড়, বারঘর, কালাহান্ডি ও বোগানগির জেলায়। তবে এনিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চাষিদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন-একুশের লক্ষ্যে রাজ্য বিজেপিতে ব্যাপক রদবদল, সম্পাদক সব্যসাচী, প্রোমোশন লকেটের, দায়িত্বে ভারতীও
ওডিশা ইউনিভার্সিটি অব এগরিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ইতিমধ্যেই কিছু গাইডলাইন দিয়েছে।
# ২০০ লিটার জলে পাঁচ শতাংশ আন্দাজ নিম তেল মিশিয়ে জমিতে স্পে করতে হবে। এছাড়াও নিম কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
# টিন বাজিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানো যেতে পারে। কাঁটার ঝাড় হাতে নিয়ে পঙ্গপালের মোকাবিলা করা যেতে পারে।
# জলের সঙ্গে করোসিন মিশিয়ে পঙ্গপাল মারা যেতে পারে।
# গাছের নীচে পলিথিন শিট বিছিয়ে গাছে নাড়া দিয়ে পঙ্গপালকে গাছছাড়া করা যেতে পারে। পলিথিনে পড়া পতঙ্গগুলিকে কেরোসিন জল দিয়ে ধ্বংস করা যেতে পারে।