Madhya Pradesh Mother: জুতো নেই, গরমে ফুটন্ত রাস্তায় প্লাস্টিক জড়িয়ে শিশুদের পা বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা মায়ের
Madhya Pradesh Mother: শেওরপুর পুরসভার কাউন্সিলর শিবম ভার্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই খবর পাওয়ার পরই অঙ্গলওয়াড়ি কর্মীদের পরিবারির ব্যাপারে খোঁজখবর করতে বলা হয়েছে। সরকারি ভাবে যতটা সম্ভব তাদের সাহায্য করা হবে।
![Madhya Pradesh Mother: জুতো নেই, গরমে ফুটন্ত রাস্তায় প্লাস্টিক জড়িয়ে শিশুদের পা বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা মায়ের Madhya Pradesh Mother: জুতো নেই, গরমে ফুটন্ত রাস্তায় প্লাস্টিক জড়িয়ে শিশুদের পা বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা মায়ের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/23/422074-6.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাপমাত্রা প্রায় ৪৫ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। গ্রীষ্মে মধ্যপ্রদেশের চড়া রোদে রাস্তায় হাঁটছেন মা। সঙ্গে ৩ সন্তান। একজন কোলে, বাকীদের হাত ধরে চলেছে। চড়া রোদে তেতে উঠেছে রাস্তা। ফুটন্ত সেই রাস্তা থেকে শিশুদের পা বাঁচাতে তাদের পায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন প্লাস্টিক। চপ্পল কেনার পয়সা নেই। এভাবেই সন্তানদের নিয়ে হঁটে চলেছেন মা। মধ্যপ্রদেশের শেওরপুরের ওই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তা ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন-খাতড়ার পথে কনভয় আটকালেন কুড়মিরা, গাড়ি থেকে নেমে নেতাদের কী বললেন অভিষেক?
প্রবল গরমে সন্তানদের নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন রুক্মিনি নামে ওই উপজাতি গৃহবধূ। তখনই তা চেখে পড়ে যায় ইনসাফ কুরেশি নামে এক সাংবাদিকের। তাঁর চোখে পড়ে যায় ওই দৃশ্য। তিনিই ওই ছবি তোলেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কুরেশি শুধু ওই ছবি তুলেই ক্ষান্ত হননি। বরং ওই মহিলাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন যাতে ওই শিশুর জন্য জুতো কিনতে পারেন ওই মহিলা। নিজের করুণ আর্থিক অবস্তার কথা কুরেশিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন রুক্মিনি।
রুক্মিনি জানিয়েছেন তারা স্বামী যক্ষা আক্রান্ত। ফলে গোটা সংসারটা এখন ভয়ানক অভাবের মধ্য়ে দিয়ে চলেছে। কোনও দিন খাবার জোটে, কোনও দিন জোট না। পরিবার বাঁচাতে এখন রুক্মিনিকে শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে তারই তালাশে বেরিয়েছিলেন তিনি। স্বামীর শরীর খারাপ। ফলে তার তিন সন্তানকে দেখার কেউ নেই। তাই তাদের সঙ্গে নিয়েই কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন মা। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি রুক্মিনিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শেওরপুর পুরসভার কাউন্সিলর শিবম ভার্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই খবর পাওয়ার পরই অঙ্গলওয়াড়ি কর্মীদের পরিবারির ব্যাপারে খোঁজখবর করতে বলা হয়েছে। সরকারি ভাবে যতটা সম্ভ তাদের সাহায্য করা হবে।