জাতীয় সঙ্গীতে সুভাষ চন্দ্র বসু যে পরিবর্তন এনেছিলেন তার 'পরিবর্তনে'র আর্জি করে মোদীকে স্বামীর চিঠি
বদল আনতে হবে জাতীয় সঙ্গীতে, এই আর্জি জানিয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী। উল্লেখ্য, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুমোদনেই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জন গণ মন'কে সংস্কৃত থেকে হিন্দি ও ঊর্দুতে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন আবিদ আলি ও ক্যাপ্টেন রাম সিং ঠাকুর 'জন গণ মন'- অনুবাদ করেছিলেন। ঐ অনুবাদে গানের সমস্ত লাইনের অর্থকে একই রাখা হয়, কেবল মাত্র ব্রিটিশ রাজাদের প্রসঙ্গে বিপ্লবী সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তন আনা হয়।
ওয়েব ডেস্ক: বদল আনতে হবে জাতীয় সঙ্গীতে, এই আর্জি জানিয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী। উল্লেখ্য, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুমোদনেই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জন গণ মন'কে সংস্কৃত থেকে হিন্দি ও ঊর্দুতে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন আবিদ আলি ও ক্যাপ্টেন রাম সিং ঠাকুর 'জন গণ মন'- অনুবাদ করেছিলেন। ঐ অনুবাদে গানের সমস্ত লাইনের অর্থকে একই রাখা হয়, কেবল মাত্র ব্রিটিশ রাজাদের প্রসঙ্গে বিপ্লবী সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তন আনা হয়।
ইতিহাসে বহুবার এই বিষয়ে তর্ক হয়েছে, " জন গণ মন না বন্দেমাতারম্ কোনটি হবে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত?" ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভোটের দিকে না গিয়ে লোকসভার সেই সময়কার অনুভূতিকে (স্পিরিট) মাথায় রেখে জন গণ মন-কেই জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এও বলা হয় সংসদ চাইলে আগামীতে জাতীয় সঙ্গীতে শব্দের পরিবর্তন করতেও পারে। সেই সময় সংসদের বেশিরভাগ সদস্যই সম্মত ছিলেন যে, ১৯১২ সালে কলকাতায় ব্রিটিশদের স্বাগত জানাতেই ঐ গান গাওয়া হয়েছিল, আর সেই বিষয়েই ওয়াকিবহল ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ। নিজের চিঠিতে এই সমস্ত বিষয়ই তুলে ধরেন সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী।