Exclusive Ananda Bose: 'কোনও সংঘাত চাই না', বার্তা বাংলার নবনিযুক্ত রাজ্যপালের
রাজভবনে এবার প্রাক্তন আমলা। জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন বাংলার নবনিযুক্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বললেন, 'আমি বাংলা ভাষা শিখব। বাংলায় বই লিখব'।
জ্যোতির্ময় কর্মকার: 'কলকাতায় ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন'। বাংলার রাজ্যপাল পদে বসার পর, জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন সি ভি আনন্দ বোস। বললেন, 'আমি কোনও সংঘাত চাই না। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করব। মনে হয় না কোনও সংঘাত হবে'। 'বাংলা শিখে, বাংলায় বই লেখা'র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের নবনিযুক্ত রাজ্যপাল।
বাংলার রাজ্যপাল তখন জগদীপ ধনখড়। রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর যখন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়, তখন রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনখড়। এ রাজ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। অবশেষে স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা।
আরও পড়ুন: 'নতুন ভোর', বিক্রম এস-এর উৎক্ষেপণের পরে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
রাজভবনে এবার প্রাক্তন এক আমলা। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বললেন, 'বাংলা অশান্ত রাজ্য। এ রাজ্যে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী থাকেন। মতবিরোধী হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাংলার রাজ্যপাল হতে পারাটা সম্মানের'। জানালেন, 'মমতাজিকে আমি কাছ থেকে দেখিনি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি, তবে রাজনীতিবিদ হিসেবে ওঁর কাজকর্মের খবর রাখি। রেসিডেন্ট কমিশনার আমার সঙ্গে দেখা করেছেন'।
পদবি 'বোস' হলেও নতুন রাজ্যপাল কিন্তু বাঙালি নন। ১৯৫১ সালের ২ জানুয়ারি তাঁর জন্ম কেরলের কোট্টায়ামে। জেলাশাসক, মুখ্যসচিব সহ-প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন ১৯৭৭ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যও হয়েছিলেন তিনি। বাংলার রাজ্যপাল হওয়ার আগে মেঘালয় সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস।
নতুন রাজ্যপাল জানিয়েছেন, 'কলকাতায় ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। শ্য়ামবাজার, রাসবিহারী ও চৌরঙ্গীতে কাজ করেছি। আমার বাবা নেতাজির অনুগামী ছিলেন। সেকারণেই নামের সঙ্গে বোস ব্যবহার করি'। পরবর্তীকালে কীভাবে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ট হয়ে উঠলেন? সোজাসাপ্টা জবাব, 'আমি রাজনীতিবিদ নই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার পেশাগত সম্পর্ক। সবার কাজের ধরন আলাদা। আমি জগদীপ ধনখড়কে সম্মান করি'।
সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার নতুন রাজ্যপালের নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। টুইটে নতুন রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। বাদ যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।