বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা প্রথম বাঁধলেন নবীনই, ওড়িশায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হল লকডাউন
লকডাউনের মোয়াদ সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু সারা দেশে করোনা সংক্রমণের জেরে যে বেহাল দশা, তাতে কি আদৌ ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ করা সঠিক কাজ হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনতা কার্ফুর পরেই ডাক দিয়েছিলেন লকডাউনের। করোনা সংক্রমণ রোখার উদ্দেশ্যে সারা দেশে জারি রয়েছে ২১ দিনের সেই লকডাউন। যার অন্তিম দিন ১৪ এপ্রিল। কিন্তু ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন সম্প্রসারিত করল ওড়িশা সরকার। সারা দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্যে সম্প্রসারিত হলো লকডাউন।
লকডাউনের মোয়াদ সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু সারা দেশে করোনা সংক্রমণের জেরে যে বেহাল দশা, তাতে কি আদৌ ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ করা সঠিক কাজ হবে! সে সম্পর্কে স্পষ্ট হচ্ছিল প্রশ্নচিহ্ন। কিন্তু এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ট্রেন ও বিমান পরিষেব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
আরও পড়ুন- পাক সেনার কুকীর্তি প্রকাশ্যে! মৃত পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রে লেখা, মেড ইন পাকিস্তান
বিজু সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ওড়িশায় বর্ধিত হলো লকডাউন। কেন্দ্রকেও এই পথে যেতে অনুরোধ করেছে বিজু প্রশাসন। বিবৃতিতে মানব সভ্যতার কাছে করোনাভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে কঠিন সমস্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবীন পট্টনায়ক বলেছেন, "আমাদের জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে লড়াই চালাতে হবে।"
ইতিমধ্যেই লকডাউন সম্পর্কে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক শেষে নমো জানিয়েছেন, কোনওভাবেই ১৪ এপ্রিল সম্ভব নয় লকডাউন শেষ করা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে শিথিল হবে লকডাউন। তবে ওড়িশা সরকারের এই পদক্ষেপ সারা দেশে লকডাউন বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করল। তা বলাই বাহুল্য।